কুরবানী দেয়া হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। জিলহজের ১০ তারিখের ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কুরবানী দিতে হবে। কুরবানী শব্দটি আরবি। এর অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ এবং জবাই করা ইত্যাদি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কুরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ। সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরবানীর দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কুরবানী পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কেননা, কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সঙ্গে তা পালন কর। (ইবন মাজাহ)
কুরবানীর পশুর মাংস খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া নিষেধ। এর অন্যতম হলো রক্ত; যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পশুর আরও ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।
তা হলো- প্রবাহিত রক্ত, অণ্ডকোশ, চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি, মূত্রথলি, পিত্ত, নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।
হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো- প্রবাহিত রক্ত, পিত্ত, মূত্রথলি, মাংসগ্রন্থি, নর-মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ এবং অণ্ডকোষ। (বায়হাকি)।
দৈনিক টার্গেট 

























