জান্নাত লাভের জন্য তিন আমল গুরুত্বপূর্ণ

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৯:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৩৩৮ বার পঠিত হয়েছে

সবাই জান্নাতে যেতে চায়। এটি খুব সুপরিচিত শব্দ। এ নামটি শুনলেই হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব হয়। জান্নাত আরবি শব্দ; এর অর্থ: স্বর্গ, বাগান, উদ্যান, সুখময় স্থান ইত্যাদি।‌ ইসলামি পরিভাষায় পার্থিব এ জীবনের অবসানের পর মুমিন বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে, তাকে জান্নাত বলা হয়। এটি সৎকর্মশীলদের চূড়ান্ত আবাসস্থল।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

চিরশান্তির স্থান হলো জান্নাত। এর ঘর-বাড়ি, আসন, আসবাবপত্র সবকিছু স্বর্ণ-রৌপ্য, মণি-মুক্তা দ্বারা নির্মিত। আরও থাকবে রেশমের গালিচা, দুধ ও মধুর নহর ও মিষ্টিপানির স্রোতধারা। আনন্দ উপভোগের সব বস্তু থাকবে জান্নাতে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতে তোমাদের মন যা চাইবে তা-ই তোমাদের জন্য রয়েছে আর তোমরা যা দাবি করবে তাও তোমাদের দেয়া হবে।’ (সুরা হামিম সেজদা: ৩১)

জান্নাত লাভ করা প্রতিটি মুমিনের একান্ত চাওয়া। তবে এ জন্য মানতে হবে কোরআন-সুন্নাহর বিধান। কোরআন-সুন্নাহর বিধান অনুযায়ি জীবন পরিচালনা করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে প্রবহমান থাকবে নহর। আর যে ব্যক্তি তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তাকে দেবেন যন্ত্রণাময় শাস্তি।’ (সুরা ফাতাহ: ১৭)

কোরআন-সুন্নাহতে জান্নাত লাভের ছোট-বড় অনেক আমল রয়েছে। এখানে জান্নাত লাভের সহজ তিনটি আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

সাহাবি হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এই নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলাবশত তাতে কোনো ত্রুটি করবে না, তার সঙ্গে মহান আল্লাহর চুক্তি হয়েছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু দাউদ)

আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার পথে তার কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতে যাবে। (নাসায়ি)

দুই জিনিসের হেফাজত করা

হজরত সাহল ইবনু সাদ (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের বস্তুর (লজ্জাস্থান) জামানত আমাকে দেবে, আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার। (বুখারি)

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

জান্নাত লাভের জন্য তিন আমল গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশ: ০৯:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সবাই জান্নাতে যেতে চায়। এটি খুব সুপরিচিত শব্দ। এ নামটি শুনলেই হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব হয়। জান্নাত আরবি শব্দ; এর অর্থ: স্বর্গ, বাগান, উদ্যান, সুখময় স্থান ইত্যাদি।‌ ইসলামি পরিভাষায় পার্থিব এ জীবনের অবসানের পর মুমিন বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে, তাকে জান্নাত বলা হয়। এটি সৎকর্মশীলদের চূড়ান্ত আবাসস্থল।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

চিরশান্তির স্থান হলো জান্নাত। এর ঘর-বাড়ি, আসন, আসবাবপত্র সবকিছু স্বর্ণ-রৌপ্য, মণি-মুক্তা দ্বারা নির্মিত। আরও থাকবে রেশমের গালিচা, দুধ ও মধুর নহর ও মিষ্টিপানির স্রোতধারা। আনন্দ উপভোগের সব বস্তু থাকবে জান্নাতে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতে তোমাদের মন যা চাইবে তা-ই তোমাদের জন্য রয়েছে আর তোমরা যা দাবি করবে তাও তোমাদের দেয়া হবে।’ (সুরা হামিম সেজদা: ৩১)

জান্নাত লাভ করা প্রতিটি মুমিনের একান্ত চাওয়া। তবে এ জন্য মানতে হবে কোরআন-সুন্নাহর বিধান। কোরআন-সুন্নাহর বিধান অনুযায়ি জীবন পরিচালনা করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে প্রবহমান থাকবে নহর। আর যে ব্যক্তি তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তাকে দেবেন যন্ত্রণাময় শাস্তি।’ (সুরা ফাতাহ: ১৭)

কোরআন-সুন্নাহতে জান্নাত লাভের ছোট-বড় অনেক আমল রয়েছে। এখানে জান্নাত লাভের সহজ তিনটি আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

সাহাবি হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এই নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলাবশত তাতে কোনো ত্রুটি করবে না, তার সঙ্গে মহান আল্লাহর চুক্তি হয়েছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু দাউদ)

আয়াতুল কুরসি পাঠ করা

হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার পথে তার কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতে যাবে। (নাসায়ি)

দুই জিনিসের হেফাজত করা

হজরত সাহল ইবনু সাদ (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের বস্তুর (লজ্জাস্থান) জামানত আমাকে দেবে, আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার। (বুখারি)

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন