ভ্রূ ও চুলের নিয়ম, শরীরের অন্যান্য লোমের বৈধতা ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

নারীদের চেহারার লোম ও ভ্রূ: ইসলামে কী বৈধ, কী নিষিদ্ধ

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৭ বার পঠিত হয়েছে

ইসলামি শরিয়তে নারীদের এবং পুরুষদের শরীরের লোম সম্পর্কিত নিয়মগুলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভ্রূ ও চুলের ক্ষেত্রে ইসলামে কিছু বিশেষ বিধি রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হাদিসে বর্ণিত আছে, যে নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে বা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করেছেন। এমন আচরণকে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি থেকে বিরত থাকতে মুসলিম নারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্রূর অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ।

ইসলামি শরিয়তে শরীরের লোম তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:

১. নিষিদ্ধ লোম: এটি কাটা বা তুলে ফেলা যাবে না। যেমন – পুরুষদের দাড়ি, নারীদের চুল ও ভ্রূ।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

২. নিয়মিত কাটার বা তুলে ফেলার লোম: যেমন – শ্রোণিদেশ, বগল, পুরুষদের গোঁফ ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

৩. সাধারণ লোম: শরীরের অন্যান্য সব লোম, যেমন হাত, পা, বুক, পিঠের লোম। এগুলো চাইলে রাখা যায়, চাইলে তুলে ফেলা যায়। নারীদের জন্য ভ্রূ ও চুল বাদে শরীরের যে কোনো লোম তুলে ফেলা বৈধ। পুরুষরাও এই ধরনের লোম কাটতে বা তুলে ফেলতে পারেন।

সংক্ষেপে, ইসলামে সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কিছু লোম কাটা বা তুলে ফেলা বাধ্যতামূলক, কিছু কাটা নিষিদ্ধ এবং কিছুতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। নারীরা ভ্রূ ও চুলের নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করলে অন্যান্য শরীরের লোম পরিষ্কার রাখা বা উপড়ে ফেলা ইসলাম অনুযায়ী বৈধ।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

ভ্রূ ও চুলের নিয়ম, শরীরের অন্যান্য লোমের বৈধতা ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

নারীদের চেহারার লোম ও ভ্রূ: ইসলামে কী বৈধ, কী নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০১:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামি শরিয়তে নারীদের এবং পুরুষদের শরীরের লোম সম্পর্কিত নিয়মগুলি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভ্রূ ও চুলের ক্ষেত্রে ইসলামে কিছু বিশেষ বিধি রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হাদিসে বর্ণিত আছে, যে নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে বা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করেছেন। এমন আচরণকে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি থেকে বিরত থাকতে মুসলিম নারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্রূর অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ।

ইসলামি শরিয়তে শরীরের লোম তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:

১. নিষিদ্ধ লোম: এটি কাটা বা তুলে ফেলা যাবে না। যেমন – পুরুষদের দাড়ি, নারীদের চুল ও ভ্রূ।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

২. নিয়মিত কাটার বা তুলে ফেলার লোম: যেমন – শ্রোণিদেশ, বগল, পুরুষদের গোঁফ ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।

৩. সাধারণ লোম: শরীরের অন্যান্য সব লোম, যেমন হাত, পা, বুক, পিঠের লোম। এগুলো চাইলে রাখা যায়, চাইলে তুলে ফেলা যায়। নারীদের জন্য ভ্রূ ও চুল বাদে শরীরের যে কোনো লোম তুলে ফেলা বৈধ। পুরুষরাও এই ধরনের লোম কাটতে বা তুলে ফেলতে পারেন।

সংক্ষেপে, ইসলামে সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কিছু লোম কাটা বা তুলে ফেলা বাধ্যতামূলক, কিছু কাটা নিষিদ্ধ এবং কিছুতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। নারীরা ভ্রূ ও চুলের নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করলে অন্যান্য শরীরের লোম পরিষ্কার রাখা বা উপড়ে ফেলা ইসলাম অনুযায়ী বৈধ।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন