সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিও দেখা বা অভিনয় করা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি কী-জানুন ধর্মীয় বিশ্লেষকদের ব্যাখায়

সিনেমা–নাটক দেখা কি বৈধ ইসলামে?

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৭:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৭ বার পঠিত হয়েছে

বর্তমান যুগে বিনোদন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে মানুষ যেমন আনন্দ পায়, তেমনি এগুলোর প্রভাব সমাজেও গভীরভাবে পড়ে। তবে এসব মাধ্যম নিয়ে ইসলাম কী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে-এ নিয়েই চলমান বিতর্কের শেষ নেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মূলনীতি পরিষ্কার-যে কাজ আল্লাহর অসন্তুষ্টি ডেকে আনে, তা বর্জন করতে হবে। ধর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, সিনেমা বা নাটক নিজে হারাম নয়, বরং বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার ধরন-ই নির্ধারণ করে সেটি বৈধ না অবৈধ।

একজন আলেম বলেন, “যদি কোনো নাটক বা সিনেমা মানুষকে নৈতিকতা, সত্যবাদিতা ও আল্লাহভীতির শিক্ষা দেয়, তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু যেখানে অশ্লীলতা, প্রেম-প্রণয় বা নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশা থাকে-সেটি ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।”

কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না-তা প্রকাশ্য হোক বা গোপন।” (সূরা আনআম: ১৫১)

ধর্ম বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, ইসলাম জ্ঞান, শিক্ষা ও নৈতিকতার প্রচারকে উৎসাহিত করে। তাই ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক নাটক, ঐতিহাসিক ধারাবাহিক বা সমাজ সংস্কারমূলক সিনেমা তৈরি করা যেতে পারে। তবে সেই কাজে পর্দা, আচরণ ও ভাষা অবশ্যই শরিয়তসম্মত হতে হবে।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

অন্যদিকে, মিউজিক ভিডিও ও নাচ-গান নিয়ে বেশিরভাগ আলেম একমত যেসব ভিডিওতে বাদ্যযন্ত্র, অশ্লীল পোশাক বা হারাম দৃশ্য ব্যবহার হয়, তা দেখা ও প্রচার করা উভয়ই পাপের কাজ।

তবে ইসলামি নাশিদ বা বাদ্যবিহীন গানের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যদি তা আল্লাহর স্মরণ ও নৈতিক বার্তা বহন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিনোদন হারাম নয়, কিন্তু “বিনোদনের নামে ধর্ম ও নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করাই আসল সমস্যা।”

তাদের মতে, মুসলমানদের উচিত এমন মাধ্যম বেছে নেওয়া যা মানুষকে ভালো দিকে আহ্বান করে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিও দেখা বা অভিনয় করা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি কী-জানুন ধর্মীয় বিশ্লেষকদের ব্যাখায়

সিনেমা–নাটক দেখা কি বৈধ ইসলামে?

প্রকাশ: ০৭:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

বর্তমান যুগে বিনোদন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে মানুষ যেমন আনন্দ পায়, তেমনি এগুলোর প্রভাব সমাজেও গভীরভাবে পড়ে। তবে এসব মাধ্যম নিয়ে ইসলাম কী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে-এ নিয়েই চলমান বিতর্কের শেষ নেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মূলনীতি পরিষ্কার-যে কাজ আল্লাহর অসন্তুষ্টি ডেকে আনে, তা বর্জন করতে হবে। ধর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, সিনেমা বা নাটক নিজে হারাম নয়, বরং বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার ধরন-ই নির্ধারণ করে সেটি বৈধ না অবৈধ।

একজন আলেম বলেন, “যদি কোনো নাটক বা সিনেমা মানুষকে নৈতিকতা, সত্যবাদিতা ও আল্লাহভীতির শিক্ষা দেয়, তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু যেখানে অশ্লীলতা, প্রেম-প্রণয় বা নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশা থাকে-সেটি ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।”

কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না-তা প্রকাশ্য হোক বা গোপন।” (সূরা আনআম: ১৫১)

ধর্ম বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, ইসলাম জ্ঞান, শিক্ষা ও নৈতিকতার প্রচারকে উৎসাহিত করে। তাই ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক নাটক, ঐতিহাসিক ধারাবাহিক বা সমাজ সংস্কারমূলক সিনেমা তৈরি করা যেতে পারে। তবে সেই কাজে পর্দা, আচরণ ও ভাষা অবশ্যই শরিয়তসম্মত হতে হবে।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

অন্যদিকে, মিউজিক ভিডিও ও নাচ-গান নিয়ে বেশিরভাগ আলেম একমত যেসব ভিডিওতে বাদ্যযন্ত্র, অশ্লীল পোশাক বা হারাম দৃশ্য ব্যবহার হয়, তা দেখা ও প্রচার করা উভয়ই পাপের কাজ।

তবে ইসলামি নাশিদ বা বাদ্যবিহীন গানের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যদি তা আল্লাহর স্মরণ ও নৈতিক বার্তা বহন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিনোদন হারাম নয়, কিন্তু “বিনোদনের নামে ধর্ম ও নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করাই আসল সমস্যা।”

তাদের মতে, মুসলমানদের উচিত এমন মাধ্যম বেছে নেওয়া যা মানুষকে ভালো দিকে আহ্বান করে, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন