বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে শুক্রবারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। দিনটি মুসলমানদের জন্য শুধু সাপ্তাহিক ছুটি নয়, বরং এটি ইবাদতের দিক থেকেও অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তাই এদিন কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আলেমরা।
জুমার নামাজে অবহেলা না করা
শুক্রবারের সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো জুমার নামাজ। এ নামাজকে হালকাভাবে নেওয়া বা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে গোনাহের কাজ। তাই যারা জুমার ওয়াক্তে ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাদের জন্য এটি বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্যে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, জুমার আজান হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে নামাজের দিকে ধাবিত হতে হবে। কিন্তু অনেকেই এই দিনে বাজারে বা অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপে পড়েন। ইসলামী শিক্ষায় এটি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
অযথা সময় নষ্ট না করা
শুক্রবারকে অন্যান্য দিনের তুলনায় অধিক সওয়াবের দিন হিসেবে ধরা হয়। তাই এদিন অলসভাবে সময় কাটানো বা অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত থাকা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। বরং কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ ও দোয়া করা শ্রেয়।
কবর জিয়ারত এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়
অনেকে শুক্রবারে কবর জিয়ারতের গুরুত্বকে ছোট করে দেখেন। অথচ ইসলামি শিক্ষায় বলা হয়েছে, এদিন মৃত আত্মাদের জন্য দোয়া করার ফজিলত অন্য দিনের তুলনায় বেশি। তাই কবরস্থান পরিদর্শনকে অবহেলা করা উচিত নয়।
পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা
শুক্রবার গোসল, পরিষ্কার পোশাক পরিধান ও সুগন্ধি ব্যবহারের দিন। যারা এ বিষয়গুলো অবহেলা করেন, তারা সুন্নাহ থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণে শরীর-মনকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
শুক্রবার ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও মিলনের দিন। এদিনকে সাধারণ ছুটির মতো না দেখে, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজে লাগানো উচিত। জুমার নামাজ আদায়, দোয়া-দরুদ পাঠ এবং সৎকর্মে মনোযোগ দেওয়া একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর।