অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৮:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ১৫০ বার পঠিত হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বাজেটে শ্রমজীবীদের উপেক্ষা করার প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের রেশন, আবাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশেষ থোক বরাদ্দের এবং অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ ৮ জুন ২০২৪, সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসুচী পালন করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য আল আমিন হাওলাদার শ্রাবণ, রুহুল আমিন সোহাগ, কামাল হোসেন, আনোয়ার খান, কামাল পারভেজ মিঠু প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে। সেই বাজেটের প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে যার সিংহভাগ ভ্যাট থেকে সংগ্রহ করার অর্থাৎ সাধারণ জনগনের নিত্যভোগ্য ব্যায় থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার বলছে দেশের জিএনপি ৫০ লক্ষ কোটি টাকার উপরে আর বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটির মধ্যে ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ শ্রমজীবী অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমজীবী মানুষ। আর দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার উৎস প্রবাসী শ্রমিক যারা প্রতিবছর ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠায়। তাহলে এটা নিশ্চয় বোঝা যায় দেশের ৫০ লক্ষ কোটি টাকার জিএনপি তে শ্রমজীবী মানুষের অবদান সিংহভাগ। তার বিপরীতে দেশের ৭ কোটি শ্রমজীবী মানুষের কাজের শর্ত, কাজের পরিবেশের নিরাপত্তা, উৎপাদনমুখি কাজ তথা সকলের জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের উপর দেয়া হয়েছে সেই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ০.০৬ শতাংশ মাত্র আর বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ মাত্র ০.১৪ শতাংশ। শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষার নজির সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রিয় শিল্পের বিকাশের প্রয়োজনীয়তা অনিস্বীকার্য সেই শিল্প মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ মাত্র ০.৩ শতাংশ।

পরিবেশের বিপর্যয়ে বাস্তুচুত্য হচ্ছে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ, জল দুষণ, বায়ু দূষণে স্বাস্থ্যহানীর স্বীকার হচ্ছে, বহন করছে বাড়তি চিকিৎসা ব্যায়। সেই পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দ মাত্র ০.২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এটা প্রমানিত শ্রমিকের জন্য উন্নত কর্ম পরিবেশ তৈরি, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা কিংবা গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক নয়। বরং শ্রমিকদের পকেট কেটে সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার কৌশলে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ, যারা দেশের সম্পদের স্রষ্টা সেই শ্রমজীবীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর্মি দরে রেশন, স্বল্পমূল্যে আবাসন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে বিশেষ থোক বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, চালাকির কথা বলে শ্রমিকদের আর ধোঁকা দেওয়া যাবেনা। শ্রমিকরা জোট বেঁধে বুঝে নেবে কার্যত কে কতখানি শ্রমিক বান্ধব।

নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতি ঈদে শ্রমিকের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে ঈদের ছুটিতে চলে যান আর শত শত শ্রমিক মালিকের কৌশলে বঞ্চিত হয়ে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে চোখের পানি ঝরায়। আপনারা সেই সকল মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের অপকর্মকে উৎসাহিত করেন। এবার সেই ব্যবহারের পরিবর্তন না হলে, শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হলে দায়ি মালিকের পাশাপাশি আপনারাও দায় এড়াতে পারবেন না। নেতৃবৃন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রদানে শ্রম দপ্তরের অসহযোগিতারও নিন্দা জানিয়ে বলেন আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে শ্রমিকের সংগঠন করা ও দর কষাকষির অধিকার কে প্রসারিত করার জন্য সহযোগিতা করা প্রকৃতপক্ষে আপনাদের চাকরির শপথ। আমরা শ্রমদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লড়াই করি আর আপনারা আমাদের কণ্ঠকে সংকুচিত করার ষড়যন্ত্রের অংশিদারে পরিণত হন যা নিন্দনিয়। নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সকল শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষায় বাজেটে বিশেষ থোক বরাদ্দের দাবি পুনরুল্লেখ করেন।

অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি

প্রকাশ: ০৮:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

বাজেটে শ্রমজীবীদের উপেক্ষা করার প্রতিবাদ ও শ্রমিকদের রেশন, আবাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশেষ থোক বরাদ্দের এবং অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ ৮ জুন ২০২৪, সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসুচী পালন করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য আল আমিন হাওলাদার শ্রাবণ, রুহুল আমিন সোহাগ, কামাল হোসেন, আনোয়ার খান, কামাল পারভেজ মিঠু প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে। সেই বাজেটের প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে যার সিংহভাগ ভ্যাট থেকে সংগ্রহ করার অর্থাৎ সাধারণ জনগনের নিত্যভোগ্য ব্যায় থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার বলছে দেশের জিএনপি ৫০ লক্ষ কোটি টাকার উপরে আর বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটির মধ্যে ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ শ্রমজীবী অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমজীবী মানুষ। আর দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার উৎস প্রবাসী শ্রমিক যারা প্রতিবছর ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠায়। তাহলে এটা নিশ্চয় বোঝা যায় দেশের ৫০ লক্ষ কোটি টাকার জিএনপি তে শ্রমজীবী মানুষের অবদান সিংহভাগ। তার বিপরীতে দেশের ৭ কোটি শ্রমজীবী মানুষের কাজের শর্ত, কাজের পরিবেশের নিরাপত্তা, উৎপাদনমুখি কাজ তথা সকলের জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের উপর দেয়া হয়েছে সেই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ০.০৬ শতাংশ মাত্র আর বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ মাত্র ০.১৪ শতাংশ। শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষার নজির সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রিয় শিল্পের বিকাশের প্রয়োজনীয়তা অনিস্বীকার্য সেই শিল্প মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ মাত্র ০.৩ শতাংশ।

পরিবেশের বিপর্যয়ে বাস্তুচুত্য হচ্ছে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ, জল দুষণ, বায়ু দূষণে স্বাস্থ্যহানীর স্বীকার হচ্ছে, বহন করছে বাড়তি চিকিৎসা ব্যায়। সেই পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দ মাত্র ০.২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এটা প্রমানিত শ্রমিকের জন্য উন্নত কর্ম পরিবেশ তৈরি, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা কিংবা গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক নয়। বরং শ্রমিকদের পকেট কেটে সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার কৌশলে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ, যারা দেশের সম্পদের স্রষ্টা সেই শ্রমজীবীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর্মি দরে রেশন, স্বল্পমূল্যে আবাসন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে বিশেষ থোক বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, চালাকির কথা বলে শ্রমিকদের আর ধোঁকা দেওয়া যাবেনা। শ্রমিকরা জোট বেঁধে বুঝে নেবে কার্যত কে কতখানি শ্রমিক বান্ধব।

নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সকল পোশাক শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতি ঈদে শ্রমিকের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে ঈদের ছুটিতে চলে যান আর শত শত শ্রমিক মালিকের কৌশলে বঞ্চিত হয়ে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে চোখের পানি ঝরায়। আপনারা সেই সকল মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের অপকর্মকে উৎসাহিত করেন। এবার সেই ব্যবহারের পরিবর্তন না হলে, শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হলে দায়ি মালিকের পাশাপাশি আপনারাও দায় এড়াতে পারবেন না। নেতৃবৃন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রদানে শ্রম দপ্তরের অসহযোগিতারও নিন্দা জানিয়ে বলেন আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে শ্রমিকের সংগঠন করা ও দর কষাকষির অধিকার কে প্রসারিত করার জন্য সহযোগিতা করা প্রকৃতপক্ষে আপনাদের চাকরির শপথ। আমরা শ্রমদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লড়াই করি আর আপনারা আমাদের কণ্ঠকে সংকুচিত করার ষড়যন্ত্রের অংশিদারে পরিণত হন যা নিন্দনিয়। নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সকল শ্রমিকের পূর্ণ ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষায় বাজেটে বিশেষ থোক বরাদ্দের দাবি পুনরুল্লেখ করেন।