রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর ৯ নং সেক্টর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে আবাসিক হোটেল রাজমনিতে প্রকাশ্যে চলছে মাদক ও দেহ ব্যাবসা চরিত্র হারাচ্ছে কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা, নষ্ট হয়ে যাচ্ছেন হাজারো সাজানো গোছানো সংসার।
তথ্য পেয়ে তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের চোখে পড়ে, চিন্হিত কিছু মাদক ব্যাবসায়ীদের ছবি, হোটেল স্টাফদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন মাদক ব্যাবসায়ীরা আসে পাশে থাকেন আমাদের পরিচিত।
রাজমনি হোটেল এর পাশে চা দোকানের বসে থাকা কিছু মানুষ বলেন, মেয়ে- রুম -ইয়াবা- মদ কি চান সব পাওয়া যায় আবাসিক হোটেল রাজমনিতে, এই কথার ভিত্তিতে রাজমনি আবাসিক হোটেলে গিয়ে মালিক ও ম্যানাজার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁদেরকে পাওয়া যায়নি,
কাউকে না পেয়ে রাজমনি হোটেল এর সামনে কিছু সময় অবস্থা করলে,স্টাফরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সব মেয়েদের বাহির করার পায়তারা শুরু করেন, সংবাদকর্মীরা বিষয় টি বুঝে সরে আব্দুল্লাহ পুর – জামাল পুর মহাসড়কে অপেক্ষা করলে কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একজাগ সুন্দরী মেয়েরা রাজমনি হোটেল থেকে বাহির হচ্ছে।
প্রথমে আবাসিক রাজমনি হোটেল এর স্টাফদের সাথে কথা বলতে গেলে তাঁরা বলেন, আমাদের এখানে অসামাজিক খারাপ কোন কাজ চলে না।
তবে আমরা প্রশ্ন করি সরেজমিনে যে মেয়েদের দেখলাম এরা কারা, তখন বলেন তাঁরা মেহমান, আমরা সংবাদকর্মীরা ভিতরে গেলে দেখা যায় সব ঠিক ঠাক চলছে।
এক এক করে বের হয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন কলেজ, ভার্সিটি, ও পতিতালয় থেকে আসা মেয়েদেরকে।
আবাসিক হোটেল রাজমনি এর স্টাফ অভিনব কায়দায় ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে অলিতে গলিতে।
সেই কার্ড থেকে নাম্বার নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আগে থেকেই রুম বুকিং দিয়ে তার পর কাস্টমার হোটেলে গিয়ে হাজির হয়। এতে করে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ, হচ্ছে অর্থনৈতিক অবক্ষয়। অনেক সময় দেখা যায় যুবক যুবতী প্রেমের সম্পর্ক ধরে ঐ সব ভিজিটিং কার্ড এর নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করে হোটেল রাজমনিতে এসে সময় পার্স করেন জানা যায় ।
হোটেল রাজমনি এর আশপাস দিয়ে কোন ভদ্র ঘরের মেয়েরা চলাচল করতে পারে না বলে জানা যায় । যদি কোনো ছাত্র ছাত্রীরা ঐ রাজমনি হোটেলের পাশ দিয়ে যায়, তাদেরকে পরতে হয় রাজমনি হোটেল দালালদের খপ্পরে হতে হয় বখাটেদের ইভটিজিং এর স্বীকার।
এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি,
এ বিষয় নিয়ে উত্তরার বসবাসকৃত সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে, তাঁরা জানায় এবং বলেন এটি উত্তরা আবাসিক এলাকা এই এলাকায় প্রকাশে দেহ ব্যবসা প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে করে, উত্তরা ৯ নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির কর্মকর্তারা বলেন আবাসিক হোটেল নামে অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করা হোক এবং যাঁরা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত, তাঁদেরকে চিন্হিত করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য -উত্তরার ডিসি মহোদয় যেনো এবিষয় যেন নজরে আনেন। এই দেশ মুসলিম দেশ প্রকাশ্যে কিভাবে করছেন দেহ ব্যবসা,দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন, আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স নিয়ে যাঁরা অসামাজিক ব্যাবসায় জড়িত হচ্ছেন , সেই হোটেল গুলো সুস্থ তদন্ত করে লাইসেন্স বাতিল করা এবং উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি – উত্তরার সর্বস্তরের জনগণের।