আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। ১৪ জুন তারিখে দিবসটি উদযাপনের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তের গ্রুপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
এই অবদানের জন্য তিনি ১৯৩০ সালে নোবেল পুরষ্কার পান। তার জন্মদিন ১৪ জুনে দিবসটি উদযাপন করে বিজ্ঞানী কার্লকে স্মরণ করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে, ‘দিবস উদযাপনের ২০ বছর ধন্যবাদ হে রক্তদাতা’ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছায় দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে থাকছে নানা কর্মসূচি।
আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর দিবসটির আয়োজক দেশ আলজেরিয়া। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়ে আসছে দিবসটি। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।
বাংলাদেশে দিবসটি পালনে সরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি এবারও এগিয়ে এসেছে সাড়ে ৪ লক্ষাধিক সুসংগঠিত ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। তাদের আয়োজনে গত বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে তিন দিনব্যাপী রক্তদাতা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিনে স্বেচ্ছা রক্তদাতা-গ্রহীতা মিলনমেলা এবং বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া গতকাল শেষ দিনে শান্তিনগর কোয়ান্টাম ল্যাবে রক্তদান উৎসব চলে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।
দেশে রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য। হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখেরও অধিক মানুষ। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়।
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ ব্যাগ রক্ত ও রক্ত উপাদানের চাহিদা রয়েছে।