টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরবাসী বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) ভোর ৫টা থেকে পানি বেড়ে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। নিচু এলাকার অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে বাড়ি ছেড়ে উঁচু এলাকার স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া সুরমা নদীর পানি উপচে শহরে প্রবেশ করছে। এদিকে টানা বর্ষণে শহরের পূর্ব নুতনপাড়া, পশ্চিম নতুনপাড়া, মরাটিলা শান্তিবাগ, টিলাপাড়া, জামতলা, হাজীপাড়া, মল্লিকপুর, পশ্চিম বাজার, মধ্যবাজার জেলরোড, শান্তিবাগ, নবীনগর ষোলঘর, উকিলপাড়া, বড়পাড়া, সাহেব বাড়িঘাট, লঞ্চঘাট, কালীপুর ও সুলতানপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছেন। সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের অনেক সড়কে মানুষ জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। এছাড়া শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আর রাস্তা পানিতে তলিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর শান্তিবাগ, মরাটিলা, পশ্চিম হাজিপাড়া, পশ্চিম নুতনপাড়া, উত্তর নুতন পাড়াসহ পুরো শহরের ৯টি ওয়ার্ডের ৬০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। অথচ সরকার ড্রেন নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও তা কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার (১৬ জুন) রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।