বগুড়ায় আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে নিজ কক্ষে ঘুমের ওষুধ সেবন করেন চিকিৎসক রোমানা শারমিন রুম্মা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত ১১ টার সময় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
আজ শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজ বাড়িতে আনা হবে।
মৃত রোমানা বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ তিনি শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাউয়ুমের মেয়ে ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামী ও এক সন্তানসহ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ১৯ জুন রাতে পরিবারের সবার অজান্তে চিকিৎসক রোমানা নিজ ঘরে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রোমানাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, মৃত চিকিৎসকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে৷ ময়নাতদন্ত শেষে বগুড়ায় আনা হবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, রোমানা প্রাণচঞ্চল একজন ব্যক্তি ও চিকিৎসক ছিলেন। তার ব্যক্তি জীবনে কোন সমস্যা ছিল বলে কখনও আমরা অনুমান করতে পারিনি।