বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছে ভারত। স্পিন বলটা দারুণ খেলে তারা। অথচ সেই ভারতের বিপক্ষেই কিনা মাত্র দুই পেসার নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ। ম্যাচ জুড়েও একের পর এক ভুল করল বাংলাদেশ। বোলিংয়ে অকাতরে রান বিলিয়ে অ্যান্টিগার মাঠে সর্বোচ্চ রান হজমের রেকর্ড গড়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের আকাঙ্ক্ষাই দেখাতে পারল না টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত বড় হারে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ।
শনিবার (২২ জুন) অ্যান্টিগার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে ৫০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নামা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ভারতের দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ১৩.৩ ওভারে ৯৮ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণির জবাবই খুঁজে পাচ্ছে না টাইগার ব্যাটাররা। সবশেষ সাকিব আল হাসান উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৩০ গজের বৃত্তও পার করতে পারেননি। ধরা পড়েছেন রোহিত শর্মার হাতে।
তানজিদ তামিম ও লিটন দাস ওপেনিং জুটিতে ৪.৩ ওভারে ৩৫ রান যোগ করার পর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দেন লিটন দাস। ১০ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন অফফর্ম লিটন।
ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তানজিদ তামিম ৩১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এই জুটিতে রানের গতি কমে আসে। ৩১ বলে ৪ চারে ২৯ রান করে কুলদীপ যাদবের প্রথম শিকারে পরিণত হন তানজিদ তামিম।
দলের খাতায় আর ১০ রান যোগ হতে না হতেই তাওহীদ হৃদয়কে এলবডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কূলদীপ। ৬ বলে ৪ রান করেন এই ইনফর্ম ব্যাটার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।
কুলদীপকে চার মেরে বেশ আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিতেই সেই বেলুন চুপসে যায়। ৭ বলে ১১ রান করেন সাকিব। অর্ধশতকের পথে হাঁটছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বুমরাহের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন আর্শদীপের হাতে। ৩২ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৪০ রান করেন বাংলাদেশের কাণ্ডারি। একাদশে ফেরা জাকের আলীও ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
শেষ দিকে ব্যাট হাতে কিছুটা বিনোদন দেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার ১ চার ও ৩ ছয়ে ১০ বলে ২৪ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ বলে ১ চারে ১৩ রান করেন।
বোলিং ব্যর্থতার পর ব্যাটারদের বাজে ব্যাটিংয়ে সুপার এইটে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। এই হারে সেমিফাইনালের দুয়ার প্রায় রুদ্ধই হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য।