কয়রায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার তেতুলতলারচর গ্রামের আঃ হামিদ শেখ। তিনি সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের হায়াতখালী বন টহল ফাঁড়ির কমিউনিটি প্রেটোলিং গ্রুপ ( সিপিজি) সদস্য।
রবিবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, গত ১৬ মে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোঃ গনি মোড়ল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ দায়ের করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ভিত্তীহিন ও বানোয়াট। ইউপি সদস্য গনি মোড়ল অভিযোগ করেছে যে গত ১৪ মে আমার বাড়ি হতে সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ কাঠ সহ গোলপাতা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি সঠিক না। পরিত্যাক্ত অবস্থায় সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্য এমন তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি হলো যে, আমি সিপিজি সদস্য হিসাবে বন বিভাগকে তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করে থাকি। আমার তথ্যর ভিত্তিতে বন বিভাগের সদস্যরা অনেক বন অপরাধের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের আটক পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। যার প্রেক্ষিতে সুন্দরবনের অবৈধ সম্পদ আহরনকারী সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি বন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্যর পুত্র শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। ঐ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে তার পিতাকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। বন বিভাগ কোন সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেনা।
তিনি আরও বলেন, ইউপি সদস্য মোঃ গনি মোড়লের পুত্র শহিদুল ইসলাম সুন্দরবনের সকল প্রকার অবৈধ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তার মদদে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ও হরিন শিকার করে থাকে অসাধু জেলেরা। তার বিরুদ্ধে জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইতিপুর্বে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাদের এসকল কাজের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটনের পাশাপাশি তদন্তপর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন,সিপিজি সদস্য আব্দুল হামিদ শেখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। যার কোন প্রমাণ দিতে পারবেনা। গত কয়েক দিন আগে আব্দুল হামিদের বাড়ী থেকে সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ কাঠ উদ্ধার করে বনবিভাগ। সেই ঘটনা ঢাকতে বনবিভাগের সহযোগীতায় এ মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।