পিরোজপুরের কাউখালীতে সড়কের পাশে সামাজিক বনায়নের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিভিন্ন এলাকার সড়কের পাশে সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগী ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগ রোপনকৃত বেশ কিছু সরকারি গাছ উপড়ে রাস্তার উপরে পরে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। যার ফলে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা মানুষের ভোগান্তি দূর করতে রাস্তার উপরে পড়ে থাকা গাছগুলো সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করতে নির্দেশ দেন। এই সুযোগে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দুষ্কৃতিকারি
কোন বিধিবিধান না মেনে রাস্তা পরিষ্কারের নামে গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। এ সময় উপড়ে পড়া গাছগুলোর সাথে অধিক মূল্যমানের ভালো গাছও কেটে নিয়ে গেছে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগ লিখিতভাবেই করেছেন
সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ।চেয়ারম্যান জানান অত্র ইউনিয়নের সামাজিক বনায়নের সৃজনকৃত পড়ে যাওয়া ও দাঁড়িয়ে থাকা আকাশমনি, বেল শিশু ও অন্যান্য ছোট বড় মিলিয়ে ৭৮ টি সরকারি গাছ প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে গেছে। গাছ গুলি চুরি যাওয়ার বিষয় বন বিভাগের ডি এফ ও (বাগেরহাট) কে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রী,বিভাগীয় কমিশনার সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগে খুয়া যাওয়া গাছের মূল্য
আনুমানিক মূল্য ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বলে তিনি লিখিতভাবে দাবি করেছেন ।সরজমিনে গেলে বিভিন্ন রাস্তার পাশে গাছের গোড়া কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলেও অধিকাংশ গাছ সরোজমিনে পাওয়া যায় নাই।
কোথাও কোথাও নামে মাত্র গাছের দুই একটি শাখা প্রশাখা দেখা গেলেও মূল গাছের মূল্যবান অংশগুলো দেখা যায়নি।
কাউখালী উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপড়ে পড়া গাছগুলো উপকার ভোগীদের মাধ্যমে কেটে তাদের জিম্মায় রাখা হয়েছে, কোন গাছ বিক্রি করা হয় নাই বলেন দাবি করেন । কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, সরকারি গাছ বিধি বহির্ভূত ভাবে বিক্রি করার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।