প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘আজব কারখানা’

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৬:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • ২৮৭ বার পঠিত হয়েছে

সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘আজব কারখানা’। সৈয়দা নিগার বানুর রচনায় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন সামিয়া জামান। পরিচালনা করেছেন শবনম ফেরদৌসী। বিশ্বের ১৫টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত সিনেমাটি জিতেছে ২টি পুরস্কার।

১২ জুলাই শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে আজব কারখানা। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশর র‌্যাম্প মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির।

দোয়েল বলেন, সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম ‘দোয়েল’। তাই ভালো লেগেছে। এখানে আমি একজন প্রোগ্রাম প্রডিউসার।  ‘ইদানীং দর্শক ভালো গল্পের প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখছে। বড় বাজেটের ছবির পাশাপাশি অল্প বাজেটের ছবিও সাড়া ফেলছে। আমাদের সিনেমার অসংখ্যজনরার গান আছে। এই ছবিতে কাজ করে মানুষ হিসেবে উদার হবার ভাবনা জেগেছে। যারা সিনেমাটি দেখবে তাদের মাঝেও এ ভাবনা জেগে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সিনেমাটি করতে রাজী হয়েছিলাম শুধুমাত্র গানের প্রতি ভালোবাসা থেকে। কারণ গানের পরিবেশেই আমার বেড়ে ওঠা। আমার বাবা মা দুজনই বাংলা গানের প্রচার প্রসারে কাজ করে গেছেন। আমি নিজেও সাধুসঙ্গসহ অনেক কিছু করেছি বাংলা গানকে ভালো করে জানতে। সেই বাংলার গান নিয়ে একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে, যেখানে আমি একজন রকস্টারের চরিত্র করতে পারবো, এই লোভ সামলাতে পারিনি।’

শাবনাজ সাদিয়া ইমি বলেন, ‘‘আমি এমন একটি সিনেমা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলাম যেটি নিয়ে সব সময় প্রাউড ফিল করতে পারি। ‘আজব কারখানা’ তেমনি একটি সিনেমা। ছবিটি করতে রাজী হই আমার বিপরীতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা আছে দেখে। তারসঙ্গে কাজ করে আমি অভিনেত্রী হিসেবে অনেক উন্নত হয়েছি বলে মনে করি। আমার আগামী কাজগুলো নির্ভর করবে এই ছবির ফলাফলের ওপর। তাই আমি সবাইকে বলবো আমরা ছবিটি হলে এসে দেখুন, আশা করছি নিরাশ হবেন না।’

শবনম ফেরদৌসী বলেন, ‘আমাদের সিনেমার কিছু দর্শক তো রয়েছেই। সেই দর্শকেরা দেখলেই আমরা খুশি। কারণ, ইতোমধ্যে আমরা প্রত্যাশামতো সিনেমা হল পেয়েছি। কেউ কেউ সিনেমাটি চেয়েও নিয়েছেন। আমরা এখন চাইলেও অনেক বড় পরিসরে মুক্তি দিতে পারব না। আমাদের সেই লোকবল নেই। আমাদের জায়গা থেকে যতটা পারা যায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে দর্শকদের যে আগ্রহ রয়েছে, সেটা বুঝছি। এখন আমাদের সিনেমা তো আর ঝাঁপিয়ে দর্শকেরা দেখতে আসবেন না। তারপরও একটি দর্শকশ্রেণি এলেই খুশি।’

রাজীব নামের এক রকস্টারের জীবনকে এই সিনেমায় তুলে আনা হয়েছে। যিনি গ্রামবাংলার বাউলশিল্পীদের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করেন। এতে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবাণী তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে রক ও ফিউশন গান।

প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘আজব কারখানা’

প্রকাশ: ০৬:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘আজব কারখানা’। সৈয়দা নিগার বানুর রচনায় সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন সামিয়া জামান। পরিচালনা করেছেন শবনম ফেরদৌসী। বিশ্বের ১৫টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত সিনেমাটি জিতেছে ২টি পুরস্কার।

১২ জুলাই শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে আজব কারখানা। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশর র‌্যাম্প মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির।

দোয়েল বলেন, সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম ‘দোয়েল’। তাই ভালো লেগেছে। এখানে আমি একজন প্রোগ্রাম প্রডিউসার।  ‘ইদানীং দর্শক ভালো গল্পের প্রেক্ষাগৃহে এসে দেখছে। বড় বাজেটের ছবির পাশাপাশি অল্প বাজেটের ছবিও সাড়া ফেলছে। আমাদের সিনেমার অসংখ্যজনরার গান আছে। এই ছবিতে কাজ করে মানুষ হিসেবে উদার হবার ভাবনা জেগেছে। যারা সিনেমাটি দেখবে তাদের মাঝেও এ ভাবনা জেগে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সিনেমাটি করতে রাজী হয়েছিলাম শুধুমাত্র গানের প্রতি ভালোবাসা থেকে। কারণ গানের পরিবেশেই আমার বেড়ে ওঠা। আমার বাবা মা দুজনই বাংলা গানের প্রচার প্রসারে কাজ করে গেছেন। আমি নিজেও সাধুসঙ্গসহ অনেক কিছু করেছি বাংলা গানকে ভালো করে জানতে। সেই বাংলার গান নিয়ে একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে, যেখানে আমি একজন রকস্টারের চরিত্র করতে পারবো, এই লোভ সামলাতে পারিনি।’

শাবনাজ সাদিয়া ইমি বলেন, ‘‘আমি এমন একটি সিনেমা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলাম যেটি নিয়ে সব সময় প্রাউড ফিল করতে পারি। ‘আজব কারখানা’ তেমনি একটি সিনেমা। ছবিটি করতে রাজী হই আমার বিপরীতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা আছে দেখে। তারসঙ্গে কাজ করে আমি অভিনেত্রী হিসেবে অনেক উন্নত হয়েছি বলে মনে করি। আমার আগামী কাজগুলো নির্ভর করবে এই ছবির ফলাফলের ওপর। তাই আমি সবাইকে বলবো আমরা ছবিটি হলে এসে দেখুন, আশা করছি নিরাশ হবেন না।’

শবনম ফেরদৌসী বলেন, ‘আমাদের সিনেমার কিছু দর্শক তো রয়েছেই। সেই দর্শকেরা দেখলেই আমরা খুশি। কারণ, ইতোমধ্যে আমরা প্রত্যাশামতো সিনেমা হল পেয়েছি। কেউ কেউ সিনেমাটি চেয়েও নিয়েছেন। আমরা এখন চাইলেও অনেক বড় পরিসরে মুক্তি দিতে পারব না। আমাদের সেই লোকবল নেই। আমাদের জায়গা থেকে যতটা পারা যায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে দর্শকদের যে আগ্রহ রয়েছে, সেটা বুঝছি। এখন আমাদের সিনেমা তো আর ঝাঁপিয়ে দর্শকেরা দেখতে আসবেন না। তারপরও একটি দর্শকশ্রেণি এলেই খুশি।’

রাজীব নামের এক রকস্টারের জীবনকে এই সিনেমায় তুলে আনা হয়েছে। যিনি গ্রামবাংলার বাউলশিল্পীদের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করেন। এতে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবাণী তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে রক ও ফিউশন গান।