নারীর নাক, মুখ ও ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে দাঁড়ালো অস্ত্রের কয়েকটি  কোপ

নাজিরপুরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • ২২১ বার পঠিত হয়েছে
পিরোজপুরের নাজিরপুরে জুতিকা বালা (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জুতিকা বালা উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)  রাত সড়ে ১১টার দিকে ওই নারীর নিজ বাড়িতে। থানা পুলিশের ধারনা টাকার জন্য  ও মাদকাসক্ত হয়ে কেহ ওই নারীকে   কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে জুতিষ বালা ও জুতিষ বালার চাচাতো ভাই উজ্জল বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে ক্ষিতিশ বালা জানান, উপজেলার কালিবাড়িতে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ওই দোকানের কাজ সেরে রাত ১১-১২টার দিকে তার পিতা ও তিনি বাড়িতে যান। অন্যান্য দিনের মতো  ওই রাতের সাড়ে  ১২টার দিকে তিনি ও তার পিতা দোকান থেকে বাড়িতে ফিরেন।
এর কিছু আগে বড় ভাই জুতিষ বালা বাড়িতে ফিরে দেখতে পান তার মাকে  দুর্বৃত্তরা  মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে রক্তাত অবস্থায় ঘরে খেলে রেখে গেছে। ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
তিনি আরো জানান , তাদের ঘরে কিছু টাকা ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে কেহ ওই টাকা নিতে আসলে মা তাতে বাঁধা দেন। এর জের  ধরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করা  হয়েছে।  তবে তার মা গত প্রায় ১০ বছর  ধরে সামান্য  মানুষিক সমস্যায় ভুগছেন। তিনি একা একা থাকতেন। তাদের পারিবারিক কোন শত্রু নাই বলে তার দাবী। তার মা তাদের ফাঁকা বাড়িতে ওই রাতে একাই ছিলেন।
স্হানীয় ইউপি  সদস্য মো. সিন্টু হাওলাদার বলেন, তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সংঘটিত ওই ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে  চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জিনাত তাসনিম বলেন, ওই  নারীর নাক, মুখ ও ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে দাঁড়ালো অস্ত্রের কয়েকটি  কোপের চিহ্ন রয়েছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি)  মো. শাহ আলম  হাওলদার বলেন, পুলিশ সুপার সহ   ঘটনাস্হল পরিদর্শন করা হয়েছে।  কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ধারনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, ওই নারীদের পারিবারিক অবস্থা মোটেই ভালো না। তা ছাড়া তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী।

নারীর নাক, মুখ ও ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে দাঁড়ালো অস্ত্রের কয়েকটি  কোপ

নাজিরপুরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
পিরোজপুরের নাজিরপুরে জুতিকা বালা (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জুতিকা বালা উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)  রাত সড়ে ১১টার দিকে ওই নারীর নিজ বাড়িতে। থানা পুলিশের ধারনা টাকার জন্য  ও মাদকাসক্ত হয়ে কেহ ওই নারীকে   কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে জুতিষ বালা ও জুতিষ বালার চাচাতো ভাই উজ্জল বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে ক্ষিতিশ বালা জানান, উপজেলার কালিবাড়িতে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ওই দোকানের কাজ সেরে রাত ১১-১২টার দিকে তার পিতা ও তিনি বাড়িতে যান। অন্যান্য দিনের মতো  ওই রাতের সাড়ে  ১২টার দিকে তিনি ও তার পিতা দোকান থেকে বাড়িতে ফিরেন।
এর কিছু আগে বড় ভাই জুতিষ বালা বাড়িতে ফিরে দেখতে পান তার মাকে  দুর্বৃত্তরা  মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে রক্তাত অবস্থায় ঘরে খেলে রেখে গেছে। ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
তিনি আরো জানান , তাদের ঘরে কিছু টাকা ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে কেহ ওই টাকা নিতে আসলে মা তাতে বাঁধা দেন। এর জের  ধরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করা  হয়েছে।  তবে তার মা গত প্রায় ১০ বছর  ধরে সামান্য  মানুষিক সমস্যায় ভুগছেন। তিনি একা একা থাকতেন। তাদের পারিবারিক কোন শত্রু নাই বলে তার দাবী। তার মা তাদের ফাঁকা বাড়িতে ওই রাতে একাই ছিলেন।
স্হানীয় ইউপি  সদস্য মো. সিন্টু হাওলাদার বলেন, তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সংঘটিত ওই ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে  চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জিনাত তাসনিম বলেন, ওই  নারীর নাক, মুখ ও ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে দাঁড়ালো অস্ত্রের কয়েকটি  কোপের চিহ্ন রয়েছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি)  মো. শাহ আলম  হাওলদার বলেন, পুলিশ সুপার সহ   ঘটনাস্হল পরিদর্শন করা হয়েছে।  কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ধারনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, ওই নারীদের পারিবারিক অবস্থা মোটেই ভালো না। তা ছাড়া তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী।