সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন বাংলাদেশে। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। পরিস্থিতির চাপে প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ ছেড়ে দেশে থেকে চলেগিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আপাতত ভারতেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু কত দিন ভারতে থাকবেন তিনি? পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? ইতিমধ্যে কি কারও কাছে আশ্রয় চেয়েছেন? উঠছে এরকম সব হাজারও প্রশ্ন। এই বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলের সাজিব ওয়াজেদ জয়। কোনও দেশের কাছে আশ্রয় চাননি তাঁর মা, দাবি জয়ের।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়ের দাবি, শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের কাছে আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমার মা কোথাও আশ্রয় চাননি। ফলে তাঁকে আশ্রয়ের অনুমতি দিচ্ছে না ব্রিটেন ও আমেরিকা বলে যে খবর রটেছে তা সত্যি নয়।’ বরং রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে এবার ৭৬ বছর বয়সী হাসিনা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
জয়ের দাবি, এবার প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ ফুরোলে আগেই তিনি অবসর নেবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন। ঠিক করেছিলেন বাংলাদেশে আর রাজনীতিতে আর জড়িত থাকবেন না। রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন তাঁর মা। তাঁর মা কোথায় থাকবেন তাহলে? সেই বিষয়ে অবশ্য খোলসা করেননি জয়। বলেন, ‘আমি ওয়াশিংটনে থাকি। কাকিমা লন্ডনে থাকেন। বোন আবার দিল্লিতে থাকে। আমরা সত্যিই জানি না। সম্ভবত মা এই তিন জায়গার মধ্যে যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।’
আপাতত দিল্লিতেই রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে আপাতত কিছুদিন সময় দিয়েছেন ভারত। দিল্লির সর্বদলীয় বৈঠকে এমনটাই ঘোষণা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সব দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।
‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মনিটরিং করছে ভারত।’ পড়শি দেশের অশান্তি নিয়ে রাজ্যসভায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, অত্যন্ত কম সময়ের নোটিসে ভারতে শেখ হাসিনার বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি চাওয়া হয়। রাজি হয় ভারত। সর্বোপরি বাংলাদেশে চলা হিংসা এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। সেদেশে দ্রুত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন।
তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের পরিস্থিতি নিয়েও। তিনি বলেন, কার্ফু থাকা সত্ত্বেও ৫ অগস্ট পথে নেমে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতে আসার অনুমতি চান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে থেকে আকাশপথ ক্লিয়ারেন্সের অনুরোধ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এসে পৌঁছন।