১০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ফিরবেন না দাবি মানা না হলে

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট ২০২৪
  • ১৪৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ পুলিশ

নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা ও সহকর্মী হত্যার বিচারসহ কয়েকটি দাবি পূরণ না পাওয়া পর্যন্ত সারা দেশের অধস্তন পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করছেন। এমনকি বিভিন্ন জেলার পুলিশ লাইনসে দিনভর বিক্ষোভ করে ঊর্ধ্বতনদের তোপের মুখে ফেলেন তাঁরা।

তবে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, কতিপয় উচ্চাভিলাষী পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এসব ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত করে পুলিশ আইনে তাঁদের বিচার করা হবে। সংস্কার করবেন পুলিশ বাহিনীকেও।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত রবিবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর দেশের নানা জায়গায় থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের প্রায় সব থানাসহ অন্যান্য কার্যালয় থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে যান। এরপর দুই দিন ধরে পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোঃ ময়নুল ইসলামকে। দায়িত্ব গ্রহণ করেই গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ ঘিরে পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এই আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যরা হত্যার শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনার জন্য পুলিশের কিছু কর্মকর্তা দায়ী বলে মনে করেন নবনিযুক্ত আইজিপি ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কতিপয় উচ্চাভিলাসী, অপেশাদার কর্মকর্তার কারণে এবং কর্মকৌশল প্রণয়নে বলপ্রয়োগের স্বীকৃত নীতিমালা অনুসরণ না করায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আমাদের অনেক সহকর্মী আহত, নিহত ও নিগৃহীত হয়েছেন।’

ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সকে নিজ নিজ পুলিশ লাইনসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সন্ধিক্ষণে আপনারা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আত্মনিয়োগ করুন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি দক্ষ, জনবান্ধব, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক পেশাদার পুলিশ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আইজিপি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের থানা এলাকায় জ্যেষ্ঠ নাগরিক, পেশাজীবী, ছাত্র প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করবেন। আমরা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বর্ণিত কমিটি থানা ও থানা এলাকার নিরাপত্তা বিধানে আপৎকালীন সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’

কিন্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই কাজের ফিরতে চান না পুলিশ সদস্যরা। আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে রাজশাহীতে গতকাল বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাঁদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন নগরীর বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনাসদস্যরা তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সরকারের পতন হচ্ছে, তা আগের দিনই টের পেয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখন ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। এর ফলে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশকে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে।

বিক্ষোভ করে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্যরা।

তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, সার্বিক বিষয় নিয়ে পুলিশপ্রধান গতকাল রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।

সরানো হলো র‍্যাবের ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারকে

পুলিশের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার পর এবার র‍্যাবের প্রধান এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হল। গণ-আন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন ভেঙে পড়েছে, তখন পুলিশের শীর্ষ পদে এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের নেতৃত্বে আনা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে; যিনি এত দিন পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ছিলেন।

আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে সেই জায়গায় চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ মাইনুল হাসানকে। হারুন-অর-রশিদ এবং হাবিবুর রহমানকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এসব বদলির আদেশ জারি করেন।

অন্যদিকে পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তনদের নিয়ে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে দাউদ হোসেনকে।

মিলাদুন্নবী কি পালন করতেন নবীজি?

পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ফিরবেন না দাবি মানা না হলে

প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট ২০২৪

নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা ও সহকর্মী হত্যার বিচারসহ কয়েকটি দাবি পূরণ না পাওয়া পর্যন্ত সারা দেশের অধস্তন পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করছেন। এমনকি বিভিন্ন জেলার পুলিশ লাইনসে দিনভর বিক্ষোভ করে ঊর্ধ্বতনদের তোপের মুখে ফেলেন তাঁরা।

তবে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, কতিপয় উচ্চাভিলাষী পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এসব ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত করে পুলিশ আইনে তাঁদের বিচার করা হবে। সংস্কার করবেন পুলিশ বাহিনীকেও।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত রবিবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর দেশের নানা জায়গায় থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের প্রায় সব থানাসহ অন্যান্য কার্যালয় থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে যান। এরপর দুই দিন ধরে পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন সদস্যরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় মোঃ ময়নুল ইসলামকে। দায়িত্ব গ্রহণ করেই গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ ঘিরে পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এই আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যরা হত্যার শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনার জন্য পুলিশের কিছু কর্মকর্তা দায়ী বলে মনে করেন নবনিযুক্ত আইজিপি ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কতিপয় উচ্চাভিলাসী, অপেশাদার কর্মকর্তার কারণে এবং কর্মকৌশল প্রণয়নে বলপ্রয়োগের স্বীকৃত নীতিমালা অনুসরণ না করায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আমাদের অনেক সহকর্মী আহত, নিহত ও নিগৃহীত হয়েছেন।’

ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সকে নিজ নিজ পুলিশ লাইনসে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সন্ধিক্ষণে আপনারা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আত্মনিয়োগ করুন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি দক্ষ, জনবান্ধব, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও জবাবদিহিমূলক পেশাদার পুলিশ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আইজিপি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের থানা এলাকায় জ্যেষ্ঠ নাগরিক, পেশাজীবী, ছাত্র প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করবেন। আমরা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বর্ণিত কমিটি থানা ও থানা এলাকার নিরাপত্তা বিধানে আপৎকালীন সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’

কিন্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই কাজের ফিরতে চান না পুলিশ সদস্যরা। আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে রাজশাহীতে গতকাল বিক্ষোভ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাঁদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন নগরীর বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনাসদস্যরা তাঁকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সরকারের পতন হচ্ছে, তা আগের দিনই টের পেয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখন ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। এর ফলে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশকে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে।

বিক্ষোভ করে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্যরা।

তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, সার্বিক বিষয় নিয়ে পুলিশপ্রধান গতকাল রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।

সরানো হলো র‍্যাবের ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারকে

পুলিশের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার পর এবার র‍্যাবের প্রধান এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হল। গণ-আন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন ভেঙে পড়েছে, তখন পুলিশের শীর্ষ পদে এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের নেতৃত্বে আনা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে; যিনি এত দিন পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ছিলেন।

আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে সেই জায়গায় চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ মাইনুল হাসানকে। হারুন-অর-রশিদ এবং হাবিবুর রহমানকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এসব বদলির আদেশ জারি করেন।

অন্যদিকে পুলিশের ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তনদের নিয়ে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি করা হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে দাউদ হোসেনকে।