ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে সংশয়ে পড়ে আইসিসি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ২০২৪ এর বিকল্প আয়োজকের খোঁজ

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১২:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • ১৪১ বার পঠিত

অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানোর কথা নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিকল্প আয়োজকের খোঁজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। ভারত না করে দিলেও ইতোমধ্যে একাধিক দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। আগামী ২০ আগস্ট আইসিসি সভায় আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

১০ দল নিয়ে আগামী ৩ অক্টোবর মাঠে গড়ানোর কথা নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২০ অক্টোবর পর্দা নামার আগে টুর্নামেন্টে হবে মোট ২৩ ম্যাচ। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে দলগুলো। দুই বছর আগেই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। তবে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে সংশয়ে পড়ে আইসিসি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান ঘটেছে বাংলাদেশে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি। অনেক আগেই বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবা শুরু করে দিয়েছে তারা। ক্রিকবাজ বলছে, টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবকরা। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ বলেন, ‘তারা (আইসিসি) বিসিসিআই এর কাছে জানতে চেয়েছে ইভেন্টটি আয়োজন করতে পারবে কি না। কিন্তু আমি স্পষ্টভাবে না করেছি। তখন (অক্টোবরে) মৌসুমি বৃষ্টিপাত থাকবে এবং আগামী বছর আমরা মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করব। পরপর দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাই, এমন ধারণা আমি দিতে চাই না।’

এদিকে ভারত না করলেও শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে আগ্রহী বলে দাবি করেছে ক্রিকবাজ। তবে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইটটি বলছে, বিকল্প হিসেবে আইসিসির কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কারণ দেশটির টাইম জোন ও ওয়েদার কন্ডিশন বাংলাদেশের কাছাকাছি। তাছাড়া আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অবকাঠামো বিশ্বমানের। তারাও টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আগ্রহী।

তবে দেশে যতই অস্থিরতা থাকুক, টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আশাবাদী বিসিবি। আসরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাপ্রধানের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে তারা। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে বোর্ডের একটি সূত্র। তবে চ্যালেঞ্জের বিষয়, সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ড পরিচালকদের অধিকাংশের অনুপস্থিতি। গণঅভ্যুত্থানের সময় তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

অবশ্য যতই চ্যালেঞ্জ থাকুক টুর্নামেন্ট আয়োজন থেকে সরে দাঁড়াতে চায় না বাংলাদেশ। গত ১৫ আগস্ট এক বোর্ড পরিচালক জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আইসিসির কাছে তারা অতিরিক্ত ৫ দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ ২০ আগস্ট হতে যাওয়া আইসিসির সভায় চূড়ান্ত হতে পারে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজন হবে কি, হবে না।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে সংশয়ে পড়ে আইসিসি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ২০২৪ এর বিকল্প আয়োজকের খোঁজ

প্রকাশের সময়: ১২:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪

অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানোর কথা নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিকল্প আয়োজকের খোঁজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। ভারত না করে দিলেও ইতোমধ্যে একাধিক দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যথাসময়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। আগামী ২০ আগস্ট আইসিসি সভায় আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

১০ দল নিয়ে আগামী ৩ অক্টোবর মাঠে গড়ানোর কথা নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২০ অক্টোবর পর্দা নামার আগে টুর্নামেন্টে হবে মোট ২৩ ম্যাচ। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে দলগুলো। দুই বছর আগেই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। তবে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে সংশয়ে পড়ে আইসিসি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান ঘটেছে বাংলাদেশে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি। অনেক আগেই বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবা শুরু করে দিয়েছে তারা। ক্রিকবাজ বলছে, টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবকরা। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ বলেন, ‘তারা (আইসিসি) বিসিসিআই এর কাছে জানতে চেয়েছে ইভেন্টটি আয়োজন করতে পারবে কি না। কিন্তু আমি স্পষ্টভাবে না করেছি। তখন (অক্টোবরে) মৌসুমি বৃষ্টিপাত থাকবে এবং আগামী বছর আমরা মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করব। পরপর দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাই, এমন ধারণা আমি দিতে চাই না।’

এদিকে ভারত না করলেও শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে আগ্রহী বলে দাবি করেছে ক্রিকবাজ। তবে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইটটি বলছে, বিকল্প হিসেবে আইসিসির কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কারণ দেশটির টাইম জোন ও ওয়েদার কন্ডিশন বাংলাদেশের কাছাকাছি। তাছাড়া আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অবকাঠামো বিশ্বমানের। তারাও টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আগ্রহী।

তবে দেশে যতই অস্থিরতা থাকুক, টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আশাবাদী বিসিবি। আসরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাপ্রধানের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে তারা। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে বোর্ডের একটি সূত্র। তবে চ্যালেঞ্জের বিষয়, সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ড পরিচালকদের অধিকাংশের অনুপস্থিতি। গণঅভ্যুত্থানের সময় তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

অবশ্য যতই চ্যালেঞ্জ থাকুক টুর্নামেন্ট আয়োজন থেকে সরে দাঁড়াতে চায় না বাংলাদেশ। গত ১৫ আগস্ট এক বোর্ড পরিচালক জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আইসিসির কাছে তারা অতিরিক্ত ৫ দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ ২০ আগস্ট হতে যাওয়া আইসিসির সভায় চূড়ান্ত হতে পারে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজন হবে কি, হবে না।