জামালপুর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ ও নাওভাঙ্গাচরের সাধারণ মানুষের জমি দখল করে শেখ ফজিলাতুননেচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দখল হওয়া জায়গায় মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় শহরের নাওভাঙ্গা চরের জমি এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ভরাট করে শেখ ফজিলাতুননেচ্ছা বিশ্ববিদ্যায়ল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে। সেখানে প্রায় ৪০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। নাওভাঙ্গা এলাকার কিছু জমি নামমাত্র টাকায় কিনে বাকি জমি জোরজবর দখল নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
জামালপুরের বেসরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য শতাধিক দরিদ্র মানুষে ঘরবাড়ি ভেঙে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে বলে বক্তারা জানিয়েছেন।
তারা আরও জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাওভাঙ্গাচরের সাধারণ নিরীহ মানষের জমি জবরদখল এবং তাদের বাস্তহারা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দখলকৃত জমি ফেরত, ক্ষতিপূরণ ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আবুল কালাম, জোসনা বেগম, হালিমা বেগম, শেখ ফরিদ, আব্দুল হালিম ও জাহানারা বেগম বক্তব্য রাখেন।
আবুল কালাম বলেন, আমরা ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে বসবাস করছি। সামনে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। বন্যার সময় নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেছি। সেই নদী ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য মির্জা আজম, পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু আমাদের অনেক নির্যাতন আমাদের করেছে। সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে হুকমি-ধামকি দিয়ে পুলিশ দিয়ে জমি জবর দখল করে নিয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি নদকে বাঁচিয়ে ও আমাদের জমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম। ২০১৯ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় নাওভাঙ্গাচর এলাকায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ওই ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্যে নাওভাঙ্গাচরের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করা হয়।