বুধবার বেলা ৩.৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এইচএসসি ও সমমান-২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ৩ দফা দাবিতে সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কদিন আগেই সারাদেশের ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মেধার বিজয় অর্জিত হলো। এই লড়াইয়ে আমরাও অগ্রনী। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করলাম যে শিক্ষাবোর্ড কোনো ধরনের যুক্তিসিদ্ধ কারণ ব্যাতিরেকেই হঠাৎ করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৪ বাতিল ঘোষণা করেছে। যা একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এরকম তাৎক্ষণিক পপুলিস্ট এবং দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা মনে করি জ্ঞানের চর্চা এবং বিকাশ ব্যতীত দেশ ও জাতির প্রকৃত কল্যাণ রচিত হতে পারে না। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে দূর্বল করে বেশির ভাগ মানুষের জ্ঞানের বিকাশ ঘটতে পারে না। এর জন্য ক্লাসে শিক্ষাদান, পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সেটার নিয়মিত মূল্যায়ন আবশ্যক বলে আমরা মনে করি। আমরা স্বৈরাচারের গুলির সামনে দাড়াতে ভয় পাইনি, পরীক্ষার হলে বসতেও ভয় পাবোনা। শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেই দেশটাকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন,এইচএসসি ২০২৪ ব্যাচের পরীক্ষা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব পক্ষের সাথে আলোচনা না করে একপাক্ষিক ভাবে যে অসুদূরপ্রসারী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়ে হয়েছে তা বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র সমাজ প্রত্যাখ্যান করছে৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল মেধার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য: দেশে এখন পরীক্ষা না নিয়ে পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের মেধার যে অবমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অযৌক্তিক।
উদ্ভুত সমস্যার সমাধানে নিম্নোক্ত ০৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে সমস্যার সমাধান করার দাবি-
১. উদ্ভুত পরিস্থিতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুকূলে এনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৪ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে হবে।
২. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এইচএসসি -২০২৪ ব্যাচের যে সকল বীর শিক্ষার্থী আহত হয়েছে তাদের তালিকা অতি দ্রুত প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে৷
৩. আহত বীর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে ( তারা যৌক্তিক সময়ের পর পরীক্ষার অংশগ্রহণ করবে নাকি কর্তৃপক্ষ তাদের অটোপ্রমোশন প্রদান করবেন নাকি অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করা হবে — এই নীতিগত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে নিতে হবে; এক্ষেত্রে আহত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে যেন অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো রকম বৈষম্যের শিকার হতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে)