সম্প্রতি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে রিক্সা শ্রমিকরাও প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু রিক্সাচালকদের  কথা কেউ মনে রাখেনি। রিক্সাচালকদের বৈষম্য দূর হয়নি

রিক্সা ও ভ্যান চালক সংগঠনের ১০ দফা দাবি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৪:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • ১৯১ বার পঠিত হয়েছে

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে রিক্সাচালকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মানুষ হয়ে ইঞ্জিনের চাকা ঘুরিয়ে দেশ গড়ার কাজে।

বর্ষবর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ২৫শে মার্চ কালো রাতে হামলা করেছিল নিরস্ত্র রিক্সাচালকদের উপরে। এক রিক্সার উপরে পড়ে আছে যাত্রীর সঙ্গে চালকের লাশ, যা আজও জাতি স্মরণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত রিক্সা শ্রমিকরা অবহেলিত। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি। মানবাধিকার বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী। দেশের সব শ্রমিকেরা স্বাধীন, আর রিক্সাচালকদের ফেলে দেয়া হয়েছে আস্তাকুড়ে। সম্প্রতি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে রিক্সা শ্রমিকরাও প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু রিক্সাচালকদের  কথা কেউ মনে রাখেনি। রিক্সাচালকদের বৈষম্য দূর হয়নি। তাই বৈষম্য দূর করতে  রিক্সাচালকদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন-

০১. স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শহীদ সকল রিক্সা চালক ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার আওতায় আনতে হবে।

০২. যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতির আদলে বাংলাদেশের রিক্সাচালকদের ১ নম্বরে রেখে শ্রমিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

০৩. রিক্সা চালকদের স্বাস্থ্য সেবা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৪. এই সেক্টরে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে ও কর্মের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

০৫. বয়স্ক চালকদের দ্রুত পূর্ণবাসনের আওতায় আনতে হবে।

০৬. প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে রিক্সা চালকদের জন্য পার্কিং ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৭. ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা শারিরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শপিংমল ও বাজারের দারোয়ানদের অশ্লীল আচরণ বন্ধ করতে হবে।

০৮. দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আটো রিক্সা আগের নির্ধারিত এলাকায় চলবে। যদি মহল্লা ভিত্তিক অটোরিক্সা চলে তাহলে রিক্সা চালকদের জন্য নির্ধারিত করতে হবে।

০৯. রাস্তার বামপাশ ভালোভাবে মেরামত করতে হবে।

১০. স্বাধীন দেশ সংস্কার কাজে রিক্সা চালকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং তাদেরও সংস্কার কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে ট্রাফিক আইন শেখার জন্য বাধ্য করতে হবে।

সম্প্রতি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে রিক্সা শ্রমিকরাও প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু রিক্সাচালকদের  কথা কেউ মনে রাখেনি। রিক্সাচালকদের বৈষম্য দূর হয়নি

রিক্সা ও ভ্যান চালক সংগঠনের ১০ দফা দাবি

প্রকাশ: ০৪:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে রিক্সাচালকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মানুষ হয়ে ইঞ্জিনের চাকা ঘুরিয়ে দেশ গড়ার কাজে।

বর্ষবর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ২৫শে মার্চ কালো রাতে হামলা করেছিল নিরস্ত্র রিক্সাচালকদের উপরে। এক রিক্সার উপরে পড়ে আছে যাত্রীর সঙ্গে চালকের লাশ, যা আজও জাতি স্মরণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত রিক্সা শ্রমিকরা অবহেলিত। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি। মানবাধিকার বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী। দেশের সব শ্রমিকেরা স্বাধীন, আর রিক্সাচালকদের ফেলে দেয়া হয়েছে আস্তাকুড়ে। সম্প্রতি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে রিক্সা শ্রমিকরাও প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু রিক্সাচালকদের  কথা কেউ মনে রাখেনি। রিক্সাচালকদের বৈষম্য দূর হয়নি। তাই বৈষম্য দূর করতে  রিক্সাচালকদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন-

০১. স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শহীদ সকল রিক্সা চালক ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার আওতায় আনতে হবে।

০২. যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতির আদলে বাংলাদেশের রিক্সাচালকদের ১ নম্বরে রেখে শ্রমিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

০৩. রিক্সা চালকদের স্বাস্থ্য সেবা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৪. এই সেক্টরে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে ও কর্মের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

০৫. বয়স্ক চালকদের দ্রুত পূর্ণবাসনের আওতায় আনতে হবে।

০৬. প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে রিক্সা চালকদের জন্য পার্কিং ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৭. ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা শারিরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শপিংমল ও বাজারের দারোয়ানদের অশ্লীল আচরণ বন্ধ করতে হবে।

০৮. দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আটো রিক্সা আগের নির্ধারিত এলাকায় চলবে। যদি মহল্লা ভিত্তিক অটোরিক্সা চলে তাহলে রিক্সা চালকদের জন্য নির্ধারিত করতে হবে।

০৯. রাস্তার বামপাশ ভালোভাবে মেরামত করতে হবে।

১০. স্বাধীন দেশ সংস্কার কাজে রিক্সা চালকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং তাদেরও সংস্কার কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে ট্রাফিক আইন শেখার জন্য বাধ্য করতে হবে।