আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস শুক্রবার (৩০ আগস্ট)। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন ফর প্রোটেকশন অব অল পারসনস এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়, তাতে ৩০ আগস্টকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) পৃথক বিবৃতিতে দেশের সব নাগরিককে গুম থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। এছাড়া, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলেছে আসক।
একইসাথে গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে এইচআরএসএস।
এদিকে, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে ৭০০ বেশি মানুষ গুম হওয়ার তালিকা রয়েছে মায়ের ডাক নামে সংগঠনের কাছে। সংগঠনটির সমন্বয়করা জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সংস্থা ব্যবহার করে গুম করা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাই আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে স্বজনদের দাবি, শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে গুমের সঙ্গে জড়িত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রত্যেক কর্মকর্তার কঠোর শাস্তি হোক।
অন্যদিকে, গুম প্রতিরোধে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও সংস্কারের দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পাশাপাশি গুম প্রতিরোধে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও সংস্কারের দাবি তাদের।
গুমের শিকারদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সনদে স্বাক্ষর করেন।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার এই সপ্তাহের শুরুতে একটি কমিশনও গঠন করে।