ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা হয়

ইসলামী ব্যাংকের চার সিনিয়র কর্মকর্তা এস আলম গ্রুপের মামলার নির্যাতনের স্বীকার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ০৪:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৮৬ বার পঠিত

ইসলামী ব্যাংক লোগো

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারী সংক্রান্ত তথ্যাদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় গ্রুপটির রোষানলে পড়ে চাকুরী খুইয়েছিলেন ইসলামী ব্যাংকের তিন সিনিয়র কর্মকর্তা, একজনের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন।
ভূক্তভোগী এসব কর্মকর্তারা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ মজুমদার।
এদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ মজুমদারকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আন্তর্জাতিক সেবা বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি সিডিসিএস, ক্যামস,সিজিএসএসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তবে তিনি ব্যাংকের লোন অনুমোদন বা লোন অপারেশনের কোন বিভাগ যেমন কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট,  এসএমই অফসোর ব্যাংকিং এ কখনো কাজ করেন নি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ২০২২ইং সালের ২৪ নভেম্বর “ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যেখানে এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, এস আলমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে কিভাবে কি পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যাদি প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রচার হওয়ার ঘটনায় এস আলম গ্রুপের রোষানলে পড়ে চাকুরী খুইয়েছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তা।
সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। শুধু চাকুরীচ্যুত করেই ক্ষান্ত হয়নি এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির ওই চার কর্মকর্তাকে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকে দিয়ে ডিবি কাযর্যালয়ে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালানো হয় তাদের উপর। জেলে প্রেরন করা হয় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ্ মজুমদারকে। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উপর চালানো  শারীরিক নির্যাতন। তাকে বদলী করে দেওয়া হয় ঢাকার বাহিরে বগুড়ায়। শুধু মাত্র বদলি করে ক্ষ্যান্ত হয়নি , তৎক্ষণাৎ বগুড়া যেতে বাধ্য করা হয়। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের গণবিপ্লবের পর পটপরিবর্তনের ফলে চাকুরীচ্যুত ওই তিনজন আবারো ইসলামী ব্যাংকের চাকরি ফিরে পান। একই সময়ে তথ্য পাচার ও এস আলম গ্রুপের “কথামতো” না চলার কারণে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ওমর ফারুক খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সিদ্দিকুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে কোনোরকম পূর্ব নোটিস ছাড়াই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানা যায়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাসেল ও সুইটকে জাতীয়তাবাদী পরিবার ৭ নং ওয়ার্ড সিলেট মহানগরের সংবর্ধনা

সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা হয়

ইসলামী ব্যাংকের চার সিনিয়র কর্মকর্তা এস আলম গ্রুপের মামলার নির্যাতনের স্বীকার

প্রকাশের সময়: ০৪:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারী সংক্রান্ত তথ্যাদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় গ্রুপটির রোষানলে পড়ে চাকুরী খুইয়েছিলেন ইসলামী ব্যাংকের তিন সিনিয়র কর্মকর্তা, একজনের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন।
ভূক্তভোগী এসব কর্মকর্তারা হলেন ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী, এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ মজুমদার।
এদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ মজুমদারকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আন্তর্জাতিক সেবা বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি সিডিসিএস, ক্যামস,সিজিএসএসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তবে তিনি ব্যাংকের লোন অনুমোদন বা লোন অপারেশনের কোন বিভাগ যেমন কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট,  এসএমই অফসোর ব্যাংকিং এ কখনো কাজ করেন নি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ২০২২ইং সালের ২৪ নভেম্বর “ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যেখানে এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, এস আলমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে কিভাবে কি পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যাদি প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রচার হওয়ার ঘটনায় এস আলম গ্রুপের রোষানলে পড়ে চাকুরী খুইয়েছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তা।
সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। শুধু চাকুরীচ্যুত করেই ক্ষান্ত হয়নি এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির ওই চার কর্মকর্তাকে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকে দিয়ে ডিবি কাযর্যালয়ে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালানো হয় তাদের উপর। জেলে প্রেরন করা হয় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল বারী ইমামী এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ্ মজুমদারকে। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উপর চালানো  শারীরিক নির্যাতন। তাকে বদলী করে দেওয়া হয় ঢাকার বাহিরে বগুড়ায়। শুধু মাত্র বদলি করে ক্ষ্যান্ত হয়নি , তৎক্ষণাৎ বগুড়া যেতে বাধ্য করা হয়। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের গণবিপ্লবের পর পটপরিবর্তনের ফলে চাকুরীচ্যুত ওই তিনজন আবারো ইসলামী ব্যাংকের চাকরি ফিরে পান। একই সময়ে তথ্য পাচার ও এস আলম গ্রুপের “কথামতো” না চলার কারণে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ওমর ফারুক খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সিদ্দিকুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে কোনোরকম পূর্ব নোটিস ছাড়াই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানা যায়।