ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১১:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৫ বার পঠিত

বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারত্বের মহামারী আকার ধারণ করায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর(রবিবার) গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ৭ দফা প্রস্তাবনা পেশ ধরেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসু সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন সহ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনাঃ-

১। সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকুরী ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত বেকারত্বের জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।

২। শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদা ভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩। সকল প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতি মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্য অবসান ঘটাতে হবে।

৪। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যাবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পন্যের উৎপাদন ও আন্তজার্তিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান, শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝড়ে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০% ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরে সকল তরুণদের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।

৬। দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত পরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে।

৭। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌড়াত্ব অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী বান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় নুরুল হক নুর বলেন, বেকারত্ব নিরসনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে ,কর্মক্ষম তরুণদের যদি এই অবস্থার কাজে না‌ লাগানো যায় তবে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিপদের মুখে পড়বে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষানীতির পরিবর্তন করতে হবে এবং কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবকদের এক অপার সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে।এতো দিন ছাত্রদের সবাই যে প্রশংসা করেছে কিন্তু তাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো লাঠিয়াল ও দখলদার বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বর্তমানে এই অপরাজনীতির কবর দেওয়ার সময় এসেছে।

তিনি বলেন,এই পর্যন্ত যুব অধিকার পরিষদ অনেক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।আমরা মজলুম হলেও ,আমরা চাই না এই দেশের আর কোনো মানুষ রাজনৈতিক কারণে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হোক।আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে এসে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার বাংলাদেশ নির্মান করতে চাই। সেক্ষেত্রে ছাত্র এবং যুবকদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন,”ছাত্র আন্দোলনের সময় যুব অধিকার পরিষদ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকে তুচ্ছ করে চলেছে একটি গোষ্ঠী।কারো একক আন্দোলনে ,একক নেতৃত্বে এই আন্দোলন সফল হয়নি।

গণঅধিকার পরিষদকে বাদ দিয়ে কোনো সরকার হতে পারে না।

পরিশেষে তিনি বলেন,এ দেশকে গড়তে হলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিকল্প নাই।

এছাড়াও সভার সভাপতি যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, “যুব অধিকার পরিষদের পেশকৃত প্রস্তাবনা গুলো যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তবে বাংলাদেশের বেকারত্বের অভিশাপ নিরসন সম্ভব,স্বচ্ছতা আসবে সমাজে।”

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাসেল ও সুইটকে জাতীয়তাবাদী পরিবার ৭ নং ওয়ার্ড সিলেট মহানগরের সংবর্ধনা

বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা

প্রকাশের সময়: ১১:২৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারত্বের মহামারী আকার ধারণ করায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর(রবিবার) গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ৭ দফা প্রস্তাবনা পেশ ধরেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসু সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন সহ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনাঃ-

১। সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকুরী ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত বেকারত্বের জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।

২। শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদা ভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩। সকল প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতি মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্য অবসান ঘটাতে হবে।

৪। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যাবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পন্যের উৎপাদন ও আন্তজার্তিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান, শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝড়ে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০% ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরে সকল তরুণদের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।

৬। দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত পরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে।

৭। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌড়াত্ব অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী বান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় নুরুল হক নুর বলেন, বেকারত্ব নিরসনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে ,কর্মক্ষম তরুণদের যদি এই অবস্থার কাজে না‌ লাগানো যায় তবে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিপদের মুখে পড়বে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষানীতির পরিবর্তন করতে হবে এবং কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবকদের এক অপার সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে।এতো দিন ছাত্রদের সবাই যে প্রশংসা করেছে কিন্তু তাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো লাঠিয়াল ও দখলদার বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বর্তমানে এই অপরাজনীতির কবর দেওয়ার সময় এসেছে।

তিনি বলেন,এই পর্যন্ত যুব অধিকার পরিষদ অনেক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।আমরা মজলুম হলেও ,আমরা চাই না এই দেশের আর কোনো মানুষ রাজনৈতিক কারণে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হোক।আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে এসে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার বাংলাদেশ নির্মান করতে চাই। সেক্ষেত্রে ছাত্র এবং যুবকদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন,”ছাত্র আন্দোলনের সময় যুব অধিকার পরিষদ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাকে তুচ্ছ করে চলেছে একটি গোষ্ঠী।কারো একক আন্দোলনে ,একক নেতৃত্বে এই আন্দোলন সফল হয়নি।

গণঅধিকার পরিষদকে বাদ দিয়ে কোনো সরকার হতে পারে না।

পরিশেষে তিনি বলেন,এ দেশকে গড়তে হলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বিকল্প নাই।

এছাড়াও সভার সভাপতি যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, “যুব অধিকার পরিষদের পেশকৃত প্রস্তাবনা গুলো যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তবে বাংলাদেশের বেকারত্বের অভিশাপ নিরসন সম্ভব,স্বচ্ছতা আসবে সমাজে।”