ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুভ জন্মদিন শেখ হাসিনা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ০৯:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫ বার পঠিত

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে ১৯৪৭ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বড় সন্তান শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৫ বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে তৃতীয়বার, ২০১৮ সালে চতুর্থ-বারের ও ২০২৪ সালে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

শেখ হাসিনার শিক্ষা জীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকে (অনার্স) ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ শেখ হাসিনার পাঁচ ভাইবোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘সাদা কালো’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ’, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ ইত্যাদি।

এদিকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত-সন্ত্রাস-লুটতরাজের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনো বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা এবং তার লক্ষ লক্ষ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ এবং ১৯৭৫ সহ অতীতে বারবার হয়েছে; ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি। সকল বিভ্রান্তি-মিথ্যাচার-ভীতি-সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্ভাসিত হবে নতুন প্রজন্ম, শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সবুজ জমিনে উদিত হবে রক্তলাল সূর্য, লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হবে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাসেল ও সুইটকে জাতীয়তাবাদী পরিবার ৭ নং ওয়ার্ড সিলেট মহানগরের সংবর্ধনা

শুভ জন্মদিন শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময়: ০৯:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে ১৯৪৭ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বড় সন্তান শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৫ বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে তৃতীয়বার, ২০১৮ সালে চতুর্থ-বারের ও ২০২৪ সালে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

শেখ হাসিনার শিক্ষা জীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকে (অনার্স) ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ শেখ হাসিনার পাঁচ ভাইবোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যঅন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘সাদা কালো’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ’, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ ইত্যাদি।

এদিকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত-সন্ত্রাস-লুটতরাজের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনো বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা এবং তার লক্ষ লক্ষ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ এবং ১৯৭৫ সহ অতীতে বারবার হয়েছে; ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি। সকল বিভ্রান্তি-মিথ্যাচার-ভীতি-সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্ভাসিত হবে নতুন প্রজন্ম, শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সবুজ জমিনে উদিত হবে রক্তলাল সূর্য, লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হবে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।