বাংলাদেশি হিসেবে ভারতের দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল হক। কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চ বিরতির আগ মূহুর্তে ৩ অঙ্কের ঘরে পৌঁছান মুমিনুল।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
কানপুরে নিজের ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি করতে মুমিনুল খরচ করেছেন ১৭২ বল। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের জুনে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দীর্ঘ ১৫ মাস পর তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভারতের মাটিতে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন মুশফিক ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, ‘আমার ইচ্ছা অবসরের আগে যেন অন্তত আরও একটা টেস্ট ভারতের মাটিতে খেলতে পারি। নাম্বার ওয়ান দলের সঙ্গে খেলে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমাদের জন্য অনেক বড় শেখার জায়গা ছিল এটা।’ মুশফিকের এই ইচ্ছাটা হয়তো পূরণ হয়েছে অবশেষে।
২০১৩ সালে লাল বলের ক্রিকেটে দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তার পরের বছরেও দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, হাফ-সেঞ্চুরি ছিল ৫টি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই সময়টায় আর কোনও শতকের দেখা পাননি এই ব্যাটার। তবে ২০১৮ সালে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তারপরের সময়টা খুব একটা ভাল কাটেনি মুমিনুলের।
২০১৯ সালে সেঞ্চুরি পায়নি, পরের বছর শতক ছিল মাত্র একটি। ২০২১ সালে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন দুবার। তারপর সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন গত বছরের জুনে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তারপর দীর্ঘ ১৫ মাস পর আজ ভারতের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে দেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। তার নামের পাশে রয়েছে ২৫টি সেঞ্চুরি। এরপরের স্থানে রয়েছে মুশফিকুর রহিমের নাম, তার সেঞ্চুরি ২০টি। তালিকায় তিন নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। তিন ফরম্যাটে তার মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৪টি। ১৩টি সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন মুমিনুল হক। লিটন দাস, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাহমুদউল্লাহ’র রয়েছে ৯টি করে সেঞ্চুরি।
নাজমুল হোসেন শান্ত ৮টি, ইমরুল কায়েস ৭টি, শাহরিয়ার নাফিস ৫টি, সৌম্য সরকার ৪টি করে শতক হাঁকিয়েছেন। এনামুল হক বিজয়, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাবিবুল বাশার করেছেন ৩টি করে সেঞ্চুরি। জুনায়েদ সিদ্দিকী ও নাসির হোসেনের রয়েছে দুটিকরে সেঞ্চুরি।