মুখে গোটা বেরোনো বা ব্রণ হওয়াটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগের ফলে আমাদের শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলেই সুস্থ, পরিষ্কার ও ব্রণবিহীন ত্বক পাওয়া সম্ভব হয় চলুন জেনে নেয়া যাক।
শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এ ছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।
গরম পানি দিয়ে গ্রিনটি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠান্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্যাগ থেকে গ্রিন টি বানান, তা হলে ঠান্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন।
রসুন বর্ণের জন্য বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। যেমন ১-২ কোয়া রসুন ২ টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রস লাগিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে এটি করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি বুঝতে পারবেন।
তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে রাতে শুবার আগে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।
ডায়েটে ময়দা ও চিনি যত সম্ভব কম রাখুন। এ দুটি খাবারের কারণে দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সাদা পাউরুটি, সাদা ভাত এবং চিনি এই ৩ উপাদান যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
এই উপাদানে বেশি মাত্রায় গ্লাইসেমিক কার্বোহাইড্রেট থাকে। এগুলো ব্রণের অন্যতম কারণ হতে পারে।
দই, দুধ, পনির এবং আইসক্রিমে খাওয়াতে মুখের ব্রণ বেড়ে যায়। দুধজাতীয় খাবার বেশি খেলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি উজ্জীবিত হয়। যার ফলে বৃদ্ধি হয়ে যায় সেবাম নিঃসরণও। এজন্য ব্রণের দাগের সমস্যাও বেড়ে যায়।