উনিশের দশকে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান ছিল স্বাভাবিক একটি বিষয়। এমনকি ওই গাছতলাকেই তাদের শ্রেণিকক্ষ হিসেবে মানা হত। তবে এই উন্নয়নের যুগে শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান খুবই অসন্তোষজনক।
সম্প্রতি এমনই এক দৃশ্য দেখা গেছে খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের এস ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অব্যাহত রেখে ২০২৩/২৪ সালে কয়রা উপজেলার মধ্যে শেষ্ঠ স্কুলের গৌরব অর্জন করে। বিদ্যালয়ে ৫-৭টি কক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২ টি কক্ষ। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে আঙিনায় নিচু টিনের নড়বড়ে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে অসহ্য গরম ও বৃষ্টিতে ভিজে যায় বই খাতা এভাবেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার বলে, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে গাছতলায় বসে পাঠদান করতে হয়। খুলনা কয়রা মেইন সড়কের পাশে স্কুলটি হওয়ায় শব্দের কারণে আমরা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছি না এই কারনে আমাদের ফলাফল খারাপ হতে পারে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, শ্রেণীপক্ষ না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫৭ জনের মতো বৃত্তি পায়। খেলাধোলায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো পুরস্কার পেয়ে আসছে।
অভিভাবক মনিরুল ইসলাম বলেন কয়রা উপজেলার মধ্যে সর্বদিক থেকে শ্রেষ্ঠ এমনকি স্কুলে উপস্থিতি প্রায় ১০০% হয়। কী কারণে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে না তা আমার জানা নেই। তবে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন স্কুলের জন্য শিগগিরই একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আনা হোক।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন- বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নেই, এ বিষয়টি আমি জেনেছি এবং উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা হবে।