খুলনার কয়রায় ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের নবম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকগণ।
২ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৪ টায় বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে উপজেলার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার শত শত সহকারী শিক্ষক রা অংশ নেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণীর গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের সমান যোগ্যতায় অনেকে দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, এটা স্পষ্টতাই একটা বড় বৈষম্য। তাদের দাবি উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাশের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে স্কেলের দশম গ্রেড পাচ্ছেন, একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিক সহ চার বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় দশম গ্রেড, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় দশম গ্রেড পাচ্ছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই পে স্কেলে ই প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হন। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন হয় ১৩ তম গ্রেডে। সেটা দশম গ্রেডে উন্নতির দাবিতে বেশ কয়েক মাস যাবত আন্দোলন করে আসছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যনিরেশনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ক ও উত্তর মদিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন, স্বর্ণ কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, বামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, গোবরা ঘাটা খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ বেলাল হোসেন, মসজিদ্কুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক মেনন আনিসুর রহমান, দক্ষিণ মদিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম, দেয়াড়া অন্তবোনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কালাম।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।