কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের শিশু পুত্র সালমান (১২) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধামা চাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহত শিশু পুত্রের মাতা শামসুন্নাহার।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুন্নাহার লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত্র আনুমান ৯ ঘটিকার সময় আমার পুত্র সন্তান মোঃ সালমান সানাকে সঙ্গে নিয়ে আমি ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর পরে সে ঐ দিন ভোরে প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য বাহিরে যায়। তারপর অনেক সময় হয়ে গেলে সে ঘরে ফিরে না আসায় ভোরের আলো শেষে একটু সকাল হলে তাকে খুজতে বের হয়। খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আমার মাতা নাছিমা খাতুন নদীর ধারে গোলপাতা বহনের একটি নৌকার ভিতরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত ও পা নিচে লাগা অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাক চিৎকার কারে। সেখানে তাৎক্ষনিক উপস্থিত হয়ে আমার পুত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে দেখতে পায় আমার পুত্রের গলায় বাম পাশে পোড়া দাগ ও গলার বাধনও ঢিলা। তখন আমাদের সন্দেহ হয়। এমনকি তার পক্ষে নৌকায় উঠা সম্ভব নয়। তাকে টেনে নিয়ে পরিকল্পিতভবে হত্যা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের সিরাজ সানার পুত্র আশরাফুল ও অহেদুল সানার নেতৃত্বে কবুতার ধরাকে কেন্দ্র করে একটি শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশের এক পর্যায়ে জালাল মোড়ল ও জসিম মোড়লের হুকুমে জালার মোড়লের পুত্র নাহিদ ও তার স্ত্রী ময়না বেগম, হাফিজুল ওরফে ফটিক, তার পুত্র আব্দুল্যাহ জনসম্মুখে আমার পুত্র সালমানকে হুমকি দিয়া বলে যে,তাকে যেন এলাকায় আর না দেখি। যদি দেখতে পাই তবে তাকে শেষ করে দিব।
ঐ ঘটনার রেশ ধরে আমার পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে। পরে তারা আমার পিতা নুর ইসলামকে ভুল বুঝিয়ে এবং হুমকি প্রদর্শন করে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। পরে জানতে পারি তাকে দিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কয়রা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করেছে। একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ডকে তারা আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিকল্পিত হত্যাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে যাতে ধামা চাপা না দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।