ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার বিচার এবং পরিবারবর্গকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি যাতে না দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনায়

কয়রায় ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবন নাশের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কয়রা উপজেলার হড্ডা গ্রামে স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবন নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভিকটিমের স্বামী সবুজ মোল্লা।

আজ সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন সবুজ মোল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে বক্তব্যে তিনি বলেন, গত অক্টোবর খুলনা শহরে আমার ব্যাক্তিগত কাজে অবস্থানরত কালীন দুপুর অনুমান ১১.৫০ ঘটিকার সময় আমার পূর্ব পরিচিত রবিউল ইসলামের মুঠোফোন থেকে আমাকে ফোন দেয় আমি কোথায় আছি তা জানতে চায়। তখন আমি বলছি যে, আমি খুলনায় আছি তখন সে বলে ভাটার কাজে যাওয়ার জন্য তোর সাথে আমার কথা আছে তুই কবে বাড়ি আসবি। তখন আমি তাকে বলি আমার ২/১ দিন দেরি হবে। তখন সে বলে আমার কাছ থেকে যে, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নিয়েছিস যদি ভাটায় না জাস তাহলে উক্ত টাকা ফেরত দিস। তখন আমি তারে বলছি যে বাড়ি এসে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিব ভাটায় যাবো কিনা বা টাকা ফেরত দেবো কিনা না সেই বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, একই তারিখে দুপুর অনুমানিক ১৩.৫০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী বাড়িতে ঘরে দরজা চেপে দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো এবং বাড়ির সামনে উঠানে আমার ২ মেয়ে আলিফা (১০), আরিয়া (০৬) খেলা করছিলো। তখন রবিউল আমার বাড়িতে আসিয়া আমার মেয়েদের বলেছেন তোমার আম্মু কোথায় তখন আমার মেয়ে আলিফা বলে আমার আম্মু ঘুমাচ্ছে। তখন রবিউল ঘরের দরজার সামনে গিয়ে দরজায় টোক্কা মারে ও পানি খাইতে চায়। তখন আমার স্ত্রী ঝরনা খাতুন (২৫) ঘুম চোখে বলেন, আমার বড় মেয়েকে পানি দিতে বলিলে আমার মেয়ে পানি দেওয়ার জন্য ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে উক্ত ব্যক্তি আমার মেয়ের সঙ্গে আমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আমার ছোট মেয়েও ঘরে প্রবেশ করে। পানি দেওয়ার জন্য আমার বড় মেয়ে কলসিতে পানি আনতে গেলে রবিউল আমার স্ত্রীকে হাত ধরে টান দেয় এবং কোন কথা না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে জোর করে পাজাকোলা করে পাশের খাটের উপরে নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার জন্য ধস্তাধস্তি করতে থাকে। তখন আমার বড় মেয়ে আলিফা চিৎকার করে এবং ছোট মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকিলে চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে আমার প্রতিবেশী খানজাহান আলীর স্ত্রী এগিয়ে আসলে রবিউল চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়া বলেছে যে যদি এই বিষয়টি কোথাও জানাস তাহলে পরিবারসহ জীবনে শেষ করে দিব।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাই এবং পরিবারসহ আমাকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি যাতে না দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার বিচার এবং পরিবারবর্গকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি যাতে না দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনায়

কয়রায় ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবন নাশের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময়: ০৭:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

কয়রা উপজেলার হড্ডা গ্রামে স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও জীবন নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভিকটিমের স্বামী সবুজ মোল্লা।

আজ সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন সবুজ মোল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে বক্তব্যে তিনি বলেন, গত অক্টোবর খুলনা শহরে আমার ব্যাক্তিগত কাজে অবস্থানরত কালীন দুপুর অনুমান ১১.৫০ ঘটিকার সময় আমার পূর্ব পরিচিত রবিউল ইসলামের মুঠোফোন থেকে আমাকে ফোন দেয় আমি কোথায় আছি তা জানতে চায়। তখন আমি বলছি যে, আমি খুলনায় আছি তখন সে বলে ভাটার কাজে যাওয়ার জন্য তোর সাথে আমার কথা আছে তুই কবে বাড়ি আসবি। তখন আমি তাকে বলি আমার ২/১ দিন দেরি হবে। তখন সে বলে আমার কাছ থেকে যে, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নিয়েছিস যদি ভাটায় না জাস তাহলে উক্ত টাকা ফেরত দিস। তখন আমি তারে বলছি যে বাড়ি এসে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিব ভাটায় যাবো কিনা বা টাকা ফেরত দেবো কিনা না সেই বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, একই তারিখে দুপুর অনুমানিক ১৩.৫০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী বাড়িতে ঘরে দরজা চেপে দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো এবং বাড়ির সামনে উঠানে আমার ২ মেয়ে আলিফা (১০), আরিয়া (০৬) খেলা করছিলো। তখন রবিউল আমার বাড়িতে আসিয়া আমার মেয়েদের বলেছেন তোমার আম্মু কোথায় তখন আমার মেয়ে আলিফা বলে আমার আম্মু ঘুমাচ্ছে। তখন রবিউল ঘরের দরজার সামনে গিয়ে দরজায় টোক্কা মারে ও পানি খাইতে চায়। তখন আমার স্ত্রী ঝরনা খাতুন (২৫) ঘুম চোখে বলেন, আমার বড় মেয়েকে পানি দিতে বলিলে আমার মেয়ে পানি দেওয়ার জন্য ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে উক্ত ব্যক্তি আমার মেয়ের সঙ্গে আমার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আমার ছোট মেয়েও ঘরে প্রবেশ করে। পানি দেওয়ার জন্য আমার বড় মেয়ে কলসিতে পানি আনতে গেলে রবিউল আমার স্ত্রীকে হাত ধরে টান দেয় এবং কোন কথা না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে জোর করে পাজাকোলা করে পাশের খাটের উপরে নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার জন্য ধস্তাধস্তি করতে থাকে। তখন আমার বড় মেয়ে আলিফা চিৎকার করে এবং ছোট মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকিলে চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে আমার প্রতিবেশী খানজাহান আলীর স্ত্রী এগিয়ে আসলে রবিউল চলে যায়। চলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়া বলেছে যে যদি এই বিষয়টি কোথাও জানাস তাহলে পরিবারসহ জীবনে শেষ করে দিব।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাই এবং পরিবারসহ আমাকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি যাতে না দিতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।