আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো জুমার দিন। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।
কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদা কতো তা অনুধাবন করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)
রাসুল (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে। (তিরমিজি)
জুমার দিনের বিশেষ বিশেষ আমল:
- জুমার দিন মিসওয়াক করে গোসল শেষে সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
- সাধ্যমতো সাজসজ্জা করে উত্তম পোষাক পরিধান করা।
- মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
- খুতবা চলাকালীন চুপ থাকা মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা ওয়াজিব।
- আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
- জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উত্তম।
- নিজের সবকিছু চেয়ে এদিন বেশি বেশি দোয়া করতে থাকুন।
- কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন’ এতোটুকুও না বলা।
- মসজিদে যাওয়ার আগে ধূমপান ও কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন না খাওয়া।
- ইমামের কাছাকাছি বসা খুতবা চলাকালীন সময়। কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হয়, কিন্তু ইচ্ছা করেই জুমার নামাজে ইমামের থেকে দূরে বসা, তহলে সেই ব্যক্তি দেরিতে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
- উচ্চস্বরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া, যাতে অন্যের মনোযোগে ইবাদত বিঘ্নিত ঘটে।