কয়রা উপজেলার দৈনিক ভোরের কাগজ এর সিনিয়র সাংবাদিক সিরাজউদ্দৌলা লিংকনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী এবং সন্তানদের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয় এবং বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বুধবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে দুই নাম্বার কয়রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কয়রা থানা পুলিশ সাংবাদিকের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এবং দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সাংবাদিক লিংকনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান- রাত আটটার পর পরই প্রায় ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ডাকতে থাকে। প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় তারা ধাক্কাধাক্কি ও ভাঙ্গার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে তিনি এগিয়ে এসে গেটটি খুলে দেন। সাথে সাথে একদল যুবক ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি জিনিসপত্র ফেলতে থাকে এবং এবং সাংবাদিক লিংকনকে খোঁজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে লিংকনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম দুর্বৃত্তদের এমন উৎ-শৃংখল ভাবে ধ্বংসলীলা না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে শুরু করেন এবং গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেন। আলমারিতে থাকা নগদ অর্থ ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
দুর্বৃত্তদের সবার মুখে মাক্স পরা ছিল এজন্য কাউকে চেনা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক লিংকন এর বাসায় অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ভাগ্নি সোনিয়া সুলতানা।
সাংবাদিক লিংকন বলেন- কয়রা উপজেলায় আমাদের একটি সুনাম আছে। আমরা কখনো অন্যায় অবৈধভাবে কারো ক্ষতি করি নাই। আমি সব সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষভাবে সাংবাদিক পেশাকেই সবার ঊর্ধ্বে রেখে নিরীহ, অসহায় ও নির্যাতিত ব্যক্তিদের সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে থাকি। অসত্যের কাছে কখনো মাথা নত করি নাই। যারা আমার বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে এবং আমার স্ত্রী-সন্তান ও ভাগ্নিকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তথা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ খবর লেখা পর্যন্ত সাংবাদিক লিংকন এর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কে দিনোপাত করছে বলে জানা যায়।