মনের আশা পূরণ হয় ঘুম ভাঙার পর যে দোয়ায়

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৯:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৬৬ বার পঠিত হয়েছে

ঘুম হলো মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। এটি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়। প্রাণবন্তভাবে করে তুলে। রাতের মাঝে মাঝে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। গভীর রাতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময়। এ সময়টি মহান আল্লাহর কাছ থেকে কিছু চেয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

বিখ্যাততম সাহাবি হজরত ওবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রাতে যখন কারও ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে এ দোয়াটি পড়ে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ (উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির, আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহা নাল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্যুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনিই একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই, আর সমস্ত প্রশংসায় তারই, তিনি সব কিছুরই ওপর শক্তিমান। পবিত্রতা মহান আল্লাহ, গুনাহের থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তিই নেই আল্লাহর তাওফিক ছাড়া।

এই দোয়া পাঠ করে কেউ যদি বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন! তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। (বর্ণনাকারী ওলিদ বলেন, অথবা তিনি বলেছেন,) কোনো দোয়া করলে তা কবুল করা হয়। এরপর সে যদি যদি উঠে অজু করে নামাজ আদায় করে, তবে তার নামাজও কবুল হয়। (আবু দাউদ)

রাতে ঘুম ভেঙে গেলে নেক কাজে ব্যয় করুন। রাতে নামাজ আদায় অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ও বহু হাদিসে এ আমলের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের উত্তম বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে মহান আল্লাহ বলেন,

وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا – وَ الَّذِیۡنَ یَبِیۡتُوۡنَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا

অর্থ: আর রাহমানের বান্দা তারাই, যারা জমিনে বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, সালাম; আর তারা রাত অতিবাহিত করে তাদের রবের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে এবং দাঁড়িয়ে থেকে। (সুরা ফুরকান ৬৩-৬৪)

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করবো। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারি)

মনের আশা পূরণ হয় ঘুম ভাঙার পর যে দোয়ায়

প্রকাশ: ০৯:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ঘুম হলো মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। এটি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়। প্রাণবন্তভাবে করে তুলে। রাতের মাঝে মাঝে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। গভীর রাতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময়। এ সময়টি মহান আল্লাহর কাছ থেকে কিছু চেয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

বিখ্যাততম সাহাবি হজরত ওবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রাতে যখন কারও ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে এ দোয়াটি পড়ে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ (উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির, আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহা নাল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্যুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।)

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনিই একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই, আর সমস্ত প্রশংসায় তারই, তিনি সব কিছুরই ওপর শক্তিমান। পবিত্রতা মহান আল্লাহ, গুনাহের থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তিই নেই আল্লাহর তাওফিক ছাড়া।

এই দোয়া পাঠ করে কেউ যদি বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন! তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। (বর্ণনাকারী ওলিদ বলেন, অথবা তিনি বলেছেন,) কোনো দোয়া করলে তা কবুল করা হয়। এরপর সে যদি যদি উঠে অজু করে নামাজ আদায় করে, তবে তার নামাজও কবুল হয়। (আবু দাউদ)

রাতে ঘুম ভেঙে গেলে নেক কাজে ব্যয় করুন। রাতে নামাজ আদায় অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ও বহু হাদিসে এ আমলের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের উত্তম বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে মহান আল্লাহ বলেন,

وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا – وَ الَّذِیۡنَ یَبِیۡتُوۡنَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا

অর্থ: আর রাহমানের বান্দা তারাই, যারা জমিনে বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদের (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, সালাম; আর তারা রাত অতিবাহিত করে তাদের রবের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে এবং দাঁড়িয়ে থেকে। (সুরা ফুরকান ৬৩-৬৪)

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করবো। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারি)