অপমান সইতে না পেরে শিক্ষকের আত্মহত্যা!

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৯:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১১৯ বার পঠিত হয়েছে

নুরুল ইসলাম

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা গ্রামের স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ ৫ নভেম্বর রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গেই ঝুলে থাকা অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

নিহত শিক্ষক নুরুল ইসলাম (৫৫) বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড এর আমজাদ হোসেনের ছেলে।

সখীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক মরদেহের সুরুতহাল করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতের মেয়ে নিপা আক্তারের দাবি, বাবা অপমানিত সইতে না পেরেই রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গেই ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

নিপা আরো বলেন, গত কয়েক মাস যাবত শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন আমার বাবার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন টাকা দাবি করছিলেন।

কিন্তু আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে, তারা জানায় বাবাকে স্কুলে নানাভাবেই হেনস্থা করা হইবে। আমার বাবার মৃত্যুরহস্যের জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ ও মানববন্ধন করেছিলেন।

কয়রায় জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

অপমান সইতে না পেরে শিক্ষকের আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ০৯:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা গ্রামের স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ ৫ নভেম্বর রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গেই ঝুলে থাকা অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

নিহত শিক্ষক নুরুল ইসলাম (৫৫) বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড এর আমজাদ হোসেনের ছেলে।

সখীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক মরদেহের সুরুতহাল করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতের মেয়ে নিপা আক্তারের দাবি, বাবা অপমানিত সইতে না পেরেই রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গেই ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

নিপা আরো বলেন, গত কয়েক মাস যাবত শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন আমার বাবার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন টাকা দাবি করছিলেন।

কিন্তু আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে, তারা জানায় বাবাকে স্কুলে নানাভাবেই হেনস্থা করা হইবে। আমার বাবার মৃত্যুরহস্যের জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ ও মানববন্ধন করেছিলেন।