ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ শাস্তি জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১১:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৩৮ বার পঠিত

পবিত্র জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন পুরুষদের জন্য জামাতসহ আদায় করা ফরজ। হাদিসে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছেন। জমা আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্রে হওয়া বা একত্রিত করা।

পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রয়েছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধ ভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিতপূর্ণ রয়েছে।

কোরআনে জুমার আলোচনা

প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামায়াতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ অর্থ: হে ঈমানদারগণ, যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা জুমা ৯)

জুমার নামাজে ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদিসের ভয়াবহ সতর্কবাণীতে উচ্চারণ করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,

যে ব্যক্তি পরপরই ৩টি জুমা ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকেই নিজের পেছনে ফেলে দিল। (সহিহ তারগিব: ৭৩২)

জুমার নামাজ ত্যাগকারীদের অন্তরে মহান আল্লাহ মোহর মেরে দেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তারা উভয়ে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন: যারা জুমার নামাজ ত্যাগ করে তাদের এ অভ্যাস বর্জন করতে হবে; নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল মেরে দেবেন, অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম: ১৮৮৭)

ভয়াবহ শাস্তি জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার

প্রকাশের সময়: ১১:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

পবিত্র জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন পুরুষদের জন্য জামাতসহ আদায় করা ফরজ। হাদিসে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছেন। জমা আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্রে হওয়া বা একত্রিত করা।

পবিত্র কোরআনে সুরা জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা রয়েছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধ ভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিতপূর্ণ রয়েছে।

কোরআনে জুমার আলোচনা

প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ পড়া ফরজ। এ নামাজ জামায়াতে আদায় করতে হয়। এ কারণেই মহান আল্লাহ জুমার দিন দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ অর্থ: হে ঈমানদারগণ, যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পারো। (সুরা জুমা ৯)

জুমার নামাজে ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদিসের ভয়াবহ সতর্কবাণীতে উচ্চারণ করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,

যে ব্যক্তি পরপরই ৩টি জুমা ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকেই নিজের পেছনে ফেলে দিল। (সহিহ তারগিব: ৭৩২)

জুমার নামাজ ত্যাগকারীদের অন্তরে মহান আল্লাহ মোহর মেরে দেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তারা উভয়ে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন: যারা জুমার নামাজ ত্যাগ করে তাদের এ অভ্যাস বর্জন করতে হবে; নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল মেরে দেবেন, অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম: ১৮৮৭)