ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩৩ অ্যাকাউন্টসহ সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ বেনজীরের

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১২:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রাতে টার্গেটকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ওই সময় আমি এই আদালতে উপস্থিত ছিলাম না। অন্য একটি মামলায় অন্য একটি আদালতে ছিলাম। আদালত থেকে বের হয়ে বিষয়টি জেনেছি।

আদালতসূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীরের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।

সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। আর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি থাকার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেনজীরকে ঘিরে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের বাড়ি ও দামি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকার কাছের এলাকায় তার বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার, পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আরও আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ১০ বিঘা জমি। যদিও ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় মাত্র ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।

প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অস্বাভাবিক।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, চিঠিতে জানান সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাসেল ও সুইটকে জাতীয়তাবাদী পরিবার ৭ নং ওয়ার্ড সিলেট মহানগরের সংবর্ধনা

৩৩ অ্যাকাউন্টসহ সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ বেনজীরের

প্রকাশের সময়: ১২:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রাতে টার্গেটকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ওই সময় আমি এই আদালতে উপস্থিত ছিলাম না। অন্য একটি মামলায় অন্য একটি আদালতে ছিলাম। আদালত থেকে বের হয়ে বিষয়টি জেনেছি।

আদালতসূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীরের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।

সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। আর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি থাকার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেনজীরকে ঘিরে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের বাড়ি ও দামি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকার কাছের এলাকায় তার বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার, পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আরও আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ১০ বিঘা জমি। যদিও ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় মাত্র ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।

প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অস্বাভাবিক।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, চিঠিতে জানান সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।