বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপি হিসেবেই অবসরপ্রাপ্ত উপ পুলিশ মহাপরিদর্শকের ডিআইজি বাহারুল আলম কে চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন সরকার। একই সঙ্গে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক চলতি দায়িত্ব শেখ মোঃ সাজ্জাত আলীকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি- এর পুলিশ কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আজ বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হায়াত মোঃ রফিকের সই করা আলাদাভাবে প্রজ্ঞাপনে এ তথ্যটি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮- এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ডিআইজি বাহারুল আলম বিপি-৬০৮৬০০০৭৮৬ কে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন- এর সাথে কর্ম সম্পর্কে পরিত্যাগের শর্তে যোগ দানের তারিখ থেকে ২ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শকের পদে চুক্তিভিত্তিকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারিভাবে চাকরির আইন, ২০১৮- এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী সাবেকি অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী (বিপি-৬১৮৬০০০৭৮৪)- কে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন- এর সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখে থেকে ২ বছর মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)- এর পুলিশ কমিশনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
জানা যায়, বাহারুল আলম পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানসহ সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদর দফতরের শান্তি রক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০১৫ সালে আফগানিস্তানের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবেই কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনের দায়িত্ব পালন করেন। ২ দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান।
অন্যদিকে সাজ্জাত আলী বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ১৯৮৪ সালে পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একসময় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ছিলেন। তা ছাড়া সাজ্জাত আলী লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। চাকরিজীবনে তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। এ ছাড়া হাইওয়ে পুলিশ গঠন হলে সেখানেও ডিআইজির দায়িত্ব পান। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। মেধাবীদের, কর্মঠ ও সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবেই বাহিনীতেও সুনাম আছে সাজ্জাত আলীর। পুলিশের এই কর্মকর্তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপায়।
গত রবিবার ১৭ নভেম্বর শেখ মোঃ সাজ্জাত আলীর চাকরি পুনর্বহাল করে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর মামলা নম্বর ৩৩/২০১৭-এর ৩ সেপ্টেম্বরের রায় অনুযায়ী পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভূতাপেক্ষভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল হিসেবে গণ্য করা হলো। তিনি আদালতের আদেশানুযায়ী সব প্রাপ্য বেতন-ভাতাদি এবং অবসরজনিত আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।’