ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজে মসজিদে হেঁটে যাওয়ার মহাপুরস্কার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১২:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭০ বার পঠিত

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠত্ব দিন জুমার দিন। এ দিনটিকেই সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয় মুসলমানদেরকে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে, যেটির আরবি শব্দ; এর অর্থ একত্রে হওয়া বা একত্রিত করা। এ দিনে আগে আগে মসজিদে গেলে রয়েছে মহাপুরস্কারের ঘোষণা।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)

জুমার দিন তাড়াতাড়ি এবং সবার আগে মসজিদে যাওয়ার অনেক সওয়াব রয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।

হযরত আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন,

আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবেন, আসার সময় হেঁটে আসবেন, কোনোভাবেই বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছিই বসবে, এরপরে দুটি খুতবা মনোযোগে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্মে করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে একবছরের নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবেন।’ (আবু দাউদ: ৩৪৫)

আরেক হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিনে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী তিনি মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি: ৮৮২)

জুমার নামাজে মসজিদে হেঁটে যাওয়ার মহাপুরস্কার

প্রকাশের সময়: ১২:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠত্ব দিন জুমার দিন। এ দিনটিকেই সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয় মুসলমানদেরকে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে, যেটির আরবি শব্দ; এর অর্থ একত্রে হওয়া বা একত্রিত করা। এ দিনে আগে আগে মসজিদে গেলে রয়েছে মহাপুরস্কারের ঘোষণা।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)

জুমার দিন তাড়াতাড়ি এবং সবার আগে মসজিদে যাওয়ার অনেক সওয়াব রয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।

হযরত আউস ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন,

আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবেন, আসার সময় হেঁটে আসবেন, কোনোভাবেই বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছিই বসবে, এরপরে দুটি খুতবা মনোযোগে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্মে করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে একবছরের নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবেন।’ (আবু দাউদ: ৩৪৫)

আরেক হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিনে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী তিনি মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি: ৮৮২)