৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৩:১৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১২৫ বার পঠিত হয়েছে

নানান কাহিনি আন্দোলন আর নাটকীয়তার শেষে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।

রবিবার ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক একটি জাহাজ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ যাতায়াত সাময়িক রন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

আজ প্রথমদিনে ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ৭০০ জনের মধ্যে দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছে।

ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাহাজটি বিকেল সাড়ে ৩টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে সেখান থেকে ৫টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, প্রথমদিনে যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করছি। কোনো অসংগতি ও পর্যটক হয়রানি সহ্য করা হবে না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি ছিল না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল।

প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ৬ মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সোমবার ২ ডিসেম্বর থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদের ও আরেকটির জাহাজ চলাচলের কথা রয়েছে।

৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৩:১৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

নানান কাহিনি আন্দোলন আর নাটকীয়তার শেষে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।

রবিবার ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামক একটি জাহাজ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ যাতায়াত সাময়িক রন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

আজ প্রথমদিনে ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে বার আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ৭০০ জনের মধ্যে দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছে।

ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাহাজটি বিকেল সাড়ে ৩টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে সেখান থেকে ৫টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, প্রথমদিনে যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আমরা সবকিছু পরিদর্শন করছি। কোনো অসংগতি ও পর্যটক হয়রানি সহ্য করা হবে না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি ছিল না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল।

প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ৬ মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সোমবার ২ ডিসেম্বর থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদের ও আরেকটির জাহাজ চলাচলের কথা রয়েছে।