চলতি বছরের শেষদিকে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল। দীর্ঘদিন পর পর্যটন নগরী স্বরূপে ফেরায় ফুরফুরে মেজাজে এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
চলতি বছর শেষে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনে বেছে নেয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় অভিভাবকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ফলে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে সাগর তীরে।
কক্সবাজারে একযোগে বিপুল পর্যটকের আনাগোনায় হোটেল-মোটেলসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানে রুম খালি নেই। কক্সবাজারের মূল সড়কগুলোতেও ট্রাফিক সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত কাল সোমবার ১৬ ডিসেম্বর সুগন্ধা পয়েন্ট, ইনানী ও অন্য পয়েন্টে দিনভর ঘুরে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে সমুদ্রপাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। অনেকেই সাগরের নোনা জলে গা ভিজাচ্ছেন, কেউ কেউ জেট স্কি নিয়ে মিতালি জমাচ্ছেন ঢেউয়ের সাথ, কেউবা বাইকের চক্কর দিচ্ছেন সাগরপাড়ে। উপস্থিত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। আর গোসলে নামার পর যেন বিপদে না পড়ে সেই তৎপরতায় লাইফগার্ড কর্মীরা সরব রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রুমভাড়া কিংবা খাবারের মূল্য আদায়ের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয় তদারকি করতে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে তথপর রয়েছে।