সুলাইমান আ. আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে যে দোয়া করেছেন

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১২:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯৬ বার পঠিত হয়েছে

ইসলাম ধর্মে দোয়ার গুরুত্বের অপরিসীম। দোয়া হলো বান্দা ও তার রবের মধ্যকার একটি গভীর সম্পর্কের প্রকাশ। পবিত্র কোরআনে দোয়ার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত রয়েছে, যা আল্লাহর নিকট বান্দার চাহিদা ও অনুগত হৃদয়ের প্রকাশ করে।

এ দোয়াগুলোর মধ্যে হযরত সুলায়মান আ.-এর দোয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ দোয়ায় তিনি আল্লাহর নেয়ামতের শোকর আদায়, নেক আমল করার তাওফিক ও নেককার বান্দাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। এ দোয়ার মধ্যে একজন মুমিনের জন্য আদর্শ দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট হয়।

رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ অর্থ: পরওয়ারদেগার! আমাকেই আপনার ঐ নেয়ামতের শোকর গোযারির উপরে থাকার তাওফীক দিন, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে এবং তাওফীক দিন ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের। আর নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপনার নেককার বান্দাদের মধ্যে।

এ দোয়া হযরত সুলায়মান আ. থেকেই বর্ণিত করা হয়েছে। وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ (নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপন নেককার বান্দাদের মধ্যে) সুলায়মান আ. মানবের সর্বোচ্চ মর্তবা পয়গাম্বারীর দরজা পেয়েছিলেন।

এরপরেও প্রার্থনা করছেন, পরওয়ারদেগার! নিজে দয়া ও করুণায় আমাকে আপন মকবুল বান্দাদের মধ্যেই শামিল করুন। এই ভয় ও দাসত্বের কি কোনো জবাব আছে? نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ (আপনার ঐ নেয়ামতে, আপনি যা দান করেছেন আমাকেই ও আমার পিতামাতাকে)।

এখানে নেয়ামতের অর্থ ব্যাপক। নবুওয়াত, বাদশাহী, সুস্থতা ও নিরাপত্তা সবই এতে শামিল। সুলায়মান আ. এর দোয়া আমীর-রইসদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ (ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের)। অর্থাৎ মকবুল আমল নসীব করুন। কারণ, যে ভালো কাজ শর্ত বা আদব রক্ষা না করার কারণে আল্লাহর দরবারে মাকবুল হবে না, তা তো কাম্য নয়। (বয়ানুল কোরআন)

হযরত সুলায়মান আ.-এর এ দোয়া আমাদের জীবনে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরগোযার, তার প্রিয় আমল করার মনোভাব এবং নেককার বান্দাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রেরণা জোগায়। দোয়াটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, শুধু নেয়ামতের মালিক হওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এমন এক দোয়া প্রতিদিনের আমলে অন্তর্ভুক্ত করলে তা আমাদের আখিরাতের জন্য সাফল্যের পথ সুগম করবে।

সুলাইমান আ. আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে যে দোয়া করেছেন

প্রকাশ: ১২:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলাম ধর্মে দোয়ার গুরুত্বের অপরিসীম। দোয়া হলো বান্দা ও তার রবের মধ্যকার একটি গভীর সম্পর্কের প্রকাশ। পবিত্র কোরআনে দোয়ার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত রয়েছে, যা আল্লাহর নিকট বান্দার চাহিদা ও অনুগত হৃদয়ের প্রকাশ করে।

এ দোয়াগুলোর মধ্যে হযরত সুলায়মান আ.-এর দোয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ দোয়ায় তিনি আল্লাহর নেয়ামতের শোকর আদায়, নেক আমল করার তাওফিক ও নেককার বান্দাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। এ দোয়ার মধ্যে একজন মুমিনের জন্য আদর্শ দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট হয়।

رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ অর্থ: পরওয়ারদেগার! আমাকেই আপনার ঐ নেয়ামতের শোকর গোযারির উপরে থাকার তাওফীক দিন, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে এবং তাওফীক দিন ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের। আর নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপনার নেককার বান্দাদের মধ্যে।

এ দোয়া হযরত সুলায়মান আ. থেকেই বর্ণিত করা হয়েছে। وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ (নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপন নেককার বান্দাদের মধ্যে) সুলায়মান আ. মানবের সর্বোচ্চ মর্তবা পয়গাম্বারীর দরজা পেয়েছিলেন।

এরপরেও প্রার্থনা করছেন, পরওয়ারদেগার! নিজে দয়া ও করুণায় আমাকে আপন মকবুল বান্দাদের মধ্যেই শামিল করুন। এই ভয় ও দাসত্বের কি কোনো জবাব আছে? نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ (আপনার ঐ নেয়ামতে, আপনি যা দান করেছেন আমাকেই ও আমার পিতামাতাকে)।

এখানে নেয়ামতের অর্থ ব্যাপক। নবুওয়াত, বাদশাহী, সুস্থতা ও নিরাপত্তা সবই এতে শামিল। সুলায়মান আ. এর দোয়া আমীর-রইসদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ (ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের)। অর্থাৎ মকবুল আমল নসীব করুন। কারণ, যে ভালো কাজ শর্ত বা আদব রক্ষা না করার কারণে আল্লাহর দরবারে মাকবুল হবে না, তা তো কাম্য নয়। (বয়ানুল কোরআন)

হযরত সুলায়মান আ.-এর এ দোয়া আমাদের জীবনে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরগোযার, তার প্রিয় আমল করার মনোভাব এবং নেককার বান্দাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রেরণা জোগায়। দোয়াটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, শুধু নেয়ামতের মালিক হওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এমন এক দোয়া প্রতিদিনের আমলে অন্তর্ভুক্ত করলে তা আমাদের আখিরাতের জন্য সাফল্যের পথ সুগম করবে।