হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে (মিনারেল ড্রিংকিং ওয়াটার) পানীয়জলের প্যাকেজিং ও বিশ্বের স্বনামধন্য ব্রান্ড ভলভোর কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ব্যাটারিতে ব্যবহৃত পানি উৎপাদন, প্যাকেজিং ও বাজারজাত করণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দূর্গাপুর গ্রামের, হরেন্দ্র সরকারের ছেলে, ফার্মেসী ব্যবসায়ী তপন সরকারের মালিকানাধীন রুহী ড্রিংকিং ওয়াটার নামক কারখানায় শিশু শ্রমিক দিয়ে দেদারসে পানিয় বোতলজাত করা হচ্ছে। আর বোতলের গায়ে লাগানো হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ড ভলভোর কোম্পানির মোড়ক।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাত করনের কাজে ব্যস্ত শ্রমিক প্রতিবেদককে জানান একই কারখানায় রুহী ড্রিংকিং ওয়াটার ও ব্যাটারিতে ব্যবহৃত ভলভোর লোগো সম্বলিত লেবেল ছাপিয়ে এনে বোতলের গায়ে লাগিয়ে বাজারজাত করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মাধবপুর সদর সহ আশপাশের বাজার গুলোতে ড্রিংকিং ওয়াটার এবং স্থানীয় গাড়ির ওয়ার্কশপ গুলোতেই ভলভোর ব্র্যান্ডের ব্যাটারির পানি সহজে বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় সাধু ব্যবসায়ীরা সাময়িক লাভবান হলেও প্রকৃতপক্ষে গাড়ির মালিকগন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম ব্র্যান্ড ভলভোর কোম্পানি সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া নিম্নমানের পানি পান করার ফলে এলাকায় রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্যহানীর আশংকা রয়েছে।
জানতে চাইলে রুহী ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরির মালিক তপন সরকার জানান, তিনি ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় হবিগঞ্জ জেলা পরিবেশ আন্দোলনের নেতা সোহেল রানার সাথে। তিনি বলেন, দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী শিশু শ্রম নিষিদ্ধ, তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানীয় জল বাজারজাত করনের ফলে স্বাস্থ্য খাত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, বিএসটি আই এর অনুমোদনহীন এ ড্রিংকিং ওয়াটার ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডা. মোঃ ইমরুল হাসান জাহাঙ্গীর বলেন,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানীয়জল মোড়কজাত করনের ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু ছড়াবে,তাছাড়া পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকলে বড় ধরনের যে কোন রোগ ছড়াতে পারে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম বলেন, এ ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।