গ্রীষ্মের সবচেয়ে লোভনীয় ফলের আম হলো অন্যতম। আর গরমে সবাই আমের স্বাদে মজে থাকে। বাজারে গেলেই চোখে পড়ে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি। আম দিয়েই তৈরি হয় নানা স্বাদের খাবার। তবে আম কেবল খেতেই সুমিষ্টই নয়, বরং এটি ত্বকেরও যত্ন নেয়। পাকা আম দিয়ে ত্বকের পরিচর্যার বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন। অথচ গরমে ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার সহজ সমাধান লুকিয়ে আছে এই আমে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ত্বকের কোন সমস্যায়, কীভাবে ব্যবহার করবেন আম?
গ্রীষ্মে ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু হল ট্যান। চড়া রোদে একবার বাইরে বেরোলেই পুড়ে যাচ্ছে ত্বকে। সেই পোড়া দাগ তুলতে অনেকেই আবার পার্লারে যান। আবার কেউ কেউ নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তাতে বিশেষ লাভ হয় না। সেক্ষেত্রে আম দিয়ে তৈরি প্যাক ত্বকের যত্ন নেবে।
যেভাবে বানাবেন
চার টেবিল চামচ আমের ক্বাথ, দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ টক দই— এই হলো উপকরণ। এবার একটি পাত্রে প্রতিটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে শরীরের রোদে পোড়া অংশে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই সুফল পাবেন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
গরমে অত্যধিক ঘাম হয়। যতই নানা ধরনের পানীয় খাওয়া হোক না কেন, শরীরে পানির ঘাটতি থেকেই যায়। সেখান থেকেই শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। তাই আম দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক দিয়ে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন।
যেভাবে তৈরি করবেন
পাকা আমের টুকরো, খানিকটা চটকানো অ্যাভোকাডো এবং দুই চা চামচ মধু একসঙ্গে মিহি করে মেখে নিন। মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে নিলে মসৃণ হবে ত্বক।
অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে
কমবয়সে বিভিন্ন কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাসের কারণেই মূলত এমন হয়। তবে কারণ যাইহোক, সমাধান লুকিয়ে আছে আমে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
দুই টেবিল চামচ আমের ক্বাথের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। তার পর তা ত্বকে মেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। মাঝেমাঝে ব্যবহার করলে ত্বক টানটান হবে।