কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড-বেফাক থেকে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সম্মিলিত কওমি মাদরাসা ফোরাম ‘সচেতন কওমি ছাত্রসমাজ’।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শিক্ষার্থীদের পালস বুঝার অনুরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
মাদরাসা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান ও সাব্বির আহমাদের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আরেক মাদরাসা প্রতিনিধি ফাহিম আল আশরাফ। বক্তব্য রাখেন মাদরাসা প্রতিনিধি ত্বহা মাহমুদ, আবুল হাসানাত মেহরাব, সুলাইমান হাওলাদার, ওয়ায়েস কারনী, বেলায়েত হুসাইন, হাসিব আশরাফ, সাদ শাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আজ আমরা ন্যায় এবং অন্যায়ের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছি। আমাদের আশঙ্কা হয়, যদি অন্যায়কে জিতিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু কওমি অঙ্গন না; পুরো দেশ ও জাতিকে খেসারত দিতে হবে। আমাদের স্পষ্ট দাবি ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের ঘিরে, এখানে কোন ব্যক্তি টার্গেট না। কিন্তু আমার ঘর, পরিবার, মাদরাসা, মসজিদ যদি ফ্যাসিবাদের আঁকড়ায় পরিণত হয় তাহলে শুধু সেই পচনধরা জায়গা না; পুরোটাই সংস্কার করা আবশ্যক।
বক্তারা আরও বলেন, বেফাকের দায়িত্বশীল পদে দাঁড়ি-টুপির আড়ালে যে ফ্যাসিস্টের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাদেরকে আমরা বারবার সতর্ক করার পরেও তাদের আদালতে দলিল প্রমাণ পেশ করার পরেও আমাদের নীতি নির্ধারকেরা কেন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি? তারা পুরো জাতির কাছে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বেফাকের দায়িত্বশীলরা দূর্নীতির আঁকড়া খুলেছে এই সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড।
তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের বহিষ্কারাদেশের ক্ষেত্রে যদি বিলম্ব হয় তাহলে আমরা ধরে নেব বেফাকে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রভাব বিস্তার করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষাবোর্ডকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে আমরা পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।