শিবচরে কিশোরীর আত্মহত্যা, বিচার চায় পরিবার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১৫২ বার পঠিত হয়েছে

মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয় সালিশকারীদের অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী হাফিজা আক্তার (১৪)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারকান্দিতে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা হন মেয়েটি। একই এলাকার আবু কালাম সরদারের ছেলে পেয়ার হোসেন এ ঘটনা ঘটায়। তখন পেয়ার হোসেনের পরিবারের চাপে মেয়েটির গর্ভপাত করানো হয়। হাফিজার সঙ্গে পেয়ারের বিয়ের আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল তখন। পরে তারা আর কথা রাখেনি।

এদিকে কিছু দিন যাবৎ পেয়ার আবার হাফিজার পিছু নেয়। কয়েকদিন আগে হাফিজার আবার জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে পেয়ার। পরে এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বসে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, শাহজাহান মাদবর, উজ্জল খান, তাজেল মাদবর, নুর ইসলাম মুন্সী ও মনির মোড়লসহ কয়েকজন ছেলের পক্ষ নিয়ে রায় দেয়।

হাফিজার ভাই নাসির মোল্লা বলেন, আমার বোন মিথ্যা সালিশের কারণে মারা গেছে। ওরা সবাই পেয়ারের পক্ষ নিয়েছে। আমার বোনের মৃত্যুর বিচার চাই। পেয়ার হোসেনসহ তার পরিবারের বিচার চাই।

শিবচর থানার ওসি মোকতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় টার্গেট

একদিনে রেকর্ড ২৪৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে

শিবচরে কিশোরীর আত্মহত্যা, বিচার চায় পরিবার

প্রকাশ: ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয় সালিশকারীদের অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী হাফিজা আক্তার (১৪)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারকান্দিতে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা হন মেয়েটি। একই এলাকার আবু কালাম সরদারের ছেলে পেয়ার হোসেন এ ঘটনা ঘটায়। তখন পেয়ার হোসেনের পরিবারের চাপে মেয়েটির গর্ভপাত করানো হয়। হাফিজার সঙ্গে পেয়ারের বিয়ের আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল তখন। পরে তারা আর কথা রাখেনি।

এদিকে কিছু দিন যাবৎ পেয়ার আবার হাফিজার পিছু নেয়। কয়েকদিন আগে হাফিজার আবার জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে পেয়ার। পরে এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বসে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, শাহজাহান মাদবর, উজ্জল খান, তাজেল মাদবর, নুর ইসলাম মুন্সী ও মনির মোড়লসহ কয়েকজন ছেলের পক্ষ নিয়ে রায় দেয়।

হাফিজার ভাই নাসির মোল্লা বলেন, আমার বোন মিথ্যা সালিশের কারণে মারা গেছে। ওরা সবাই পেয়ারের পক্ষ নিয়েছে। আমার বোনের মৃত্যুর বিচার চাই। পেয়ার হোসেনসহ তার পরিবারের বিচার চাই।

শিবচর থানার ওসি মোকতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।