কোস্ট গার্ড ও মাদক কারবারিদের গোলাগুলি : নিহত ১ ও অস্ত্রসহ আটক ১৬

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৮:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮৫ বার পঠিত হয়েছে

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে উপকূলরক্ষী বাহিনী কোস্ট গার্ডের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ওই সময় অস্ত্রসহ ১৬ জন মাদক কারবারি ও ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, শুক্রবার গোলাগুলিতে নিহত হন জামাল উদ্দিন (৩৫)। কোস্ট গার্ডের দাবি, তিনি একজন চোরাকারবারি।

লে. কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম-উল-হক জানান, মিয়ানমার থেকে ট্রলারে চোরাকারবারিদের একটি মাদকের চালান আসার খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের টহল দল বাংলাদেশী পানিসীমায় ওই ট্রলারটিকে থামার সঙ্কেত দেয়। কিন্তু তারা সঙ্কেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তার ভাষায়, ওই সময় কোস্ট গার্ড ফাঁকা গোলার মাধ্যমে বোটটিকে থামার সঙ্কেত প্রদান করলে, ট্রলার থেকে চোরাকারবারিরা কোস্ট গার্ডকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় কোস্ট গার্ড বোটটির ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি চালায়।

তিনি আরও বলেন, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ট্রলার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে। তাকে টেকনাফ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারি আটক করা হয়।

তাদের কাছ থেকে করে ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড তাজা গোলা পাওয়া যায়।

ধৃত ডাকাত ও মাদক পাচারকারিরা জিজ্ঞাসাবাদে কোস্ট গার্ডকে জানায়, বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নাফ নদীতে ফেলে দেয়। ফেলে দেয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র সাংবাদিকদের বলেন, সকালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত ব্যাক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

কোস্ট গার্ড ও মাদক কারবারিদের গোলাগুলি : নিহত ১ ও অস্ত্রসহ আটক ১৬

প্রকাশ: ০৮:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে উপকূলরক্ষী বাহিনী কোস্ট গার্ডের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। ওই সময় অস্ত্রসহ ১৬ জন মাদক কারবারি ও ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, শুক্রবার গোলাগুলিতে নিহত হন জামাল উদ্দিন (৩৫)। কোস্ট গার্ডের দাবি, তিনি একজন চোরাকারবারি।

লে. কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম-উল-হক জানান, মিয়ানমার থেকে ট্রলারে চোরাকারবারিদের একটি মাদকের চালান আসার খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের টহল দল বাংলাদেশী পানিসীমায় ওই ট্রলারটিকে থামার সঙ্কেত দেয়। কিন্তু তারা সঙ্কেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তার ভাষায়, ওই সময় কোস্ট গার্ড ফাঁকা গোলার মাধ্যমে বোটটিকে থামার সঙ্কেত প্রদান করলে, ট্রলার থেকে চোরাকারবারিরা কোস্ট গার্ডকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় কোস্ট গার্ড বোটটির ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি চালায়।

তিনি আরও বলেন, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ট্রলার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে। তাকে টেকনাফ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারি আটক করা হয়।

তাদের কাছ থেকে করে ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড তাজা গোলা পাওয়া যায়।

ধৃত ডাকাত ও মাদক পাচারকারিরা জিজ্ঞাসাবাদে কোস্ট গার্ডকে জানায়, বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নাফ নদীতে ফেলে দেয়। ফেলে দেয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র সাংবাদিকদের বলেন, সকালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত ব্যাক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।