জাতিসংঘের অভিযোগ

লেবাননে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরাইল

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১০:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১০৪ বার পঠিত হয়েছে

লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী

লেবাননে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী অভিযোগ করেছে, গত নভেম্বরে দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। শনিবার লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী-ইউএনআইএফআইএল এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জেরে ইসরাইলকে সতর্কতা জানিয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, তার দলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে। ইউএনআইএফআইএলের বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার সকালে শান্তিরক্ষীরা পর্যবেক্ষণ করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি বুলডোজার লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী লাব্বুনাতে দুই দেশের সীমান্ত রেখা টানা নীল ব্যারেলের চিহ্ন ধ্বংস করেছে। একই সঙ্গে ইউএনআইএফআইএলের অবস্থানের পাশে লেবাননের সামরিক বাহিনীর একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও ধ্বংস করে দিয়েছে বুলডোজারটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত সব পক্ষকেই বেসামরিক সম্পত্তি ও স্থাপনা ধ্বংসসহ এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যার ফলে আবার সংঘাত সৃষ্টি হয়।

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসনের জেরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইসরাইল লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। এর জেরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে দ্বিতীয় এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরাইল। গত নভেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষই আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকবে তবে উভয়পক্ষই আত্মরক্ষার অধিকার রাখবে। তবে আত্মরক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু চুক্তিতে জানানো হয়নি।

শর্ত অনুসারে, সীমান্তে শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ও লেবাননের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের শর্ত দেওয়া হয়। হিজবুল্লাহও তার যোদ্ধাদের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার সরিয়ে লিতানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।

এর আগে গত ডিসেম্বরেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল।

শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, লেবানন সীমান্তে ইসরাইলের বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে এবং যখন আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব, তোমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যক্ষ করবে।’

ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে হিজবুল্লাহর নীরবতার বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নেতৃত্ব সময় হলেই সিদ্ধান্ত নেবে কখন কীভাবে কোন পন্থায় প্রতিরোধ করা হবে।

জাতিসংঘের অভিযোগ

লেবাননে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরাইল

প্রকাশ: ১০:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

লেবাননে মোতায়েন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী অভিযোগ করেছে, গত নভেম্বরে দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। শনিবার লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী-ইউএনআইএফআইএল এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জেরে ইসরাইলকে সতর্কতা জানিয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, তার দলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে। ইউএনআইএফআইএলের বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার সকালে শান্তিরক্ষীরা পর্যবেক্ষণ করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি বুলডোজার লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী লাব্বুনাতে দুই দেশের সীমান্ত রেখা টানা নীল ব্যারেলের চিহ্ন ধ্বংস করেছে। একই সঙ্গে ইউএনআইএফআইএলের অবস্থানের পাশে লেবাননের সামরিক বাহিনীর একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও ধ্বংস করে দিয়েছে বুলডোজারটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত সব পক্ষকেই বেসামরিক সম্পত্তি ও স্থাপনা ধ্বংসসহ এমন যে কোনো পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যার ফলে আবার সংঘাত সৃষ্টি হয়।

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসনের জেরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইসরাইল লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। এর জেরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে দ্বিতীয় এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরাইল। গত নভেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষই আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকবে তবে উভয়পক্ষই আত্মরক্ষার অধিকার রাখবে। তবে আত্মরক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু চুক্তিতে জানানো হয়নি।

শর্ত অনুসারে, সীমান্তে শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ও লেবাননের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের শর্ত দেওয়া হয়। হিজবুল্লাহও তার যোদ্ধাদের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার সরিয়ে লিতানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।

এর আগে গত ডিসেম্বরেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল।

শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, লেবানন সীমান্তে ইসরাইলের বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে এবং যখন আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব, তোমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যক্ষ করবে।’

ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে হিজবুল্লাহর নীরবতার বিষয়ে তিনি বলেন, দলের নেতৃত্ব সময় হলেই সিদ্ধান্ত নেবে কখন কীভাবে কোন পন্থায় প্রতিরোধ করা হবে।