সৈয়দপুরে নববূধকে হত্যা, স্বামী আটক

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৩:২৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১০৪ বার পঠিত হয়েছে

মুক্তা আক্তার

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার কাজীপাড়ায় মুক্তা আক্তার নামে এক নববধূকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় গতকাল সকালে মুক্তার স্বামী রানাকে (৩২) আটক করেছে।

রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

১৬ দিন আগে কুন্দল পশ্চিমপাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজিপাড়া গ্রামের মরহুম বাবলু মিয়ার ছেলে রানা। বিয়ের কিছু দিন পর রানা ও মুক্তার মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশচাপা দিয়ে মুক্তাকে হত্যা করেন এবং এ ঘটনা বোন লাভলীকে জানান।

ঘটনা শুনে লাভলী পুলিশে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সঙ্গে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করে। শনিবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।

সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে রানা। মুক্তার পরিবার মামলা করলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সৈয়দপুরে নববূধকে হত্যা, স্বামী আটক

প্রকাশ: ০৩:২৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার কাজীপাড়ায় মুক্তা আক্তার নামে এক নববধূকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় গতকাল সকালে মুক্তার স্বামী রানাকে (৩২) আটক করেছে।

রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

১৬ দিন আগে কুন্দল পশ্চিমপাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজিপাড়া গ্রামের মরহুম বাবলু মিয়ার ছেলে রানা। বিয়ের কিছু দিন পর রানা ও মুক্তার মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশচাপা দিয়ে মুক্তাকে হত্যা করেন এবং এ ঘটনা বোন লাভলীকে জানান।

ঘটনা শুনে লাভলী পুলিশে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সঙ্গে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করে। শনিবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।

সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে রানা। মুক্তার পরিবার মামলা করলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।