সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বনদস্যুরা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮০ বার পঠিত হয়েছে

মোংলা বাগেরহাট সুন্দরবন

সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বনদস্যুরা। গত কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জেলে অপহরণ ও চাঁদা আদায়সহ বেশ কয়েকটি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনাকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বনবিভাগের সক্ষমতা আরে বাড়ানো ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালেরা।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবনে এক সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলো বনদস্যুরা। অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের অভয়ারণ্য ছিলো সুন্দরবন। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালীসহ সংশ্লিষ্ট বননির্ভরশীলরা সব সময় থাকতো বনদস্যুদের আতঙ্কে। তবে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে ২০১৮ সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫/৬ বছর পর আবারও সুন্দরবনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বনদুস্যরা।

সর্বশেষ চলতি বছরে জেলে অপহরণ, লুটপাট, মুক্তিপণের ঘটনা চরম ভাবে বেড়ে গেছে। নতুন করে সুন্দরবনের আতঙ্ক হিসেবে শরীফ, মামু ভাগ্নে, মজনুসহ চারটি বনদস্যু বাহিনীর নাম উঠে এসেছে। এরমধ্যে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদেরও কেউ কেউ পুনরায় এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কমে আসায় বাড়ছে এ ধরনের অপরাধ। গত কয়ক মাসে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন জেলে পরিবার থেকে। টাকা দিতে না পারলে তারা জেলেদের আটকে রাখে। এর ফলে বনে যাওয়া খুবই ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়ে বর্তমান সময়ে। তাই সরকারের কাছে এ সমস্যা সমাধানের দাবী জানিয়েছেন জেলেরা।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, জেলেদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় দস্যুতার খবর পাচ্ছি। যখনই এ ধরনের খবর পাচ্ছি তখনই আমরা তৎপরতা চালিয়ে থাকি। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৪ জন বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৮সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।

সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বনদস্যুরা

প্রকাশ: ১২:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সুন্দরবনে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বনদস্যুরা। গত কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জেলে অপহরণ ও চাঁদা আদায়সহ বেশ কয়েকটি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনাকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বনবিভাগের সক্ষমতা আরে বাড়ানো ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালেরা।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবনে এক সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলো বনদস্যুরা। অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের অভয়ারণ্য ছিলো সুন্দরবন। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালীসহ সংশ্লিষ্ট বননির্ভরশীলরা সব সময় থাকতো বনদস্যুদের আতঙ্কে। তবে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে ২০১৮ সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫/৬ বছর পর আবারও সুন্দরবনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বনদুস্যরা।

সর্বশেষ চলতি বছরে জেলে অপহরণ, লুটপাট, মুক্তিপণের ঘটনা চরম ভাবে বেড়ে গেছে। নতুন করে সুন্দরবনের আতঙ্ক হিসেবে শরীফ, মামু ভাগ্নে, মজনুসহ চারটি বনদস্যু বাহিনীর নাম উঠে এসেছে। এরমধ্যে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদেরও কেউ কেউ পুনরায় এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কমে আসায় বাড়ছে এ ধরনের অপরাধ। গত কয়ক মাসে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন জেলে পরিবার থেকে। টাকা দিতে না পারলে তারা জেলেদের আটকে রাখে। এর ফলে বনে যাওয়া খুবই ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়ে বর্তমান সময়ে। তাই সরকারের কাছে এ সমস্যা সমাধানের দাবী জানিয়েছেন জেলেরা।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, জেলেদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় দস্যুতার খবর পাচ্ছি। যখনই এ ধরনের খবর পাচ্ছি তখনই আমরা তৎপরতা চালিয়ে থাকি। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করবো।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৪ জন বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৮সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।